Jalpaiguri Hospital

প্রাণনাশের হুমকি, ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা, জলপাইগুড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান

জেলা

চিকিৎসকদের প্রাণনাশের হুমকির জেরে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অবস্থান করেন পড়ুয়া চিকিৎসকেরা। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় কলেজে। তবে অবস্থান চললেও স্বাভাবিক রয়েছে রোগী পরিষেবা।
জানা গেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লিপিকা দাস বীর (৩৫) নামে এক ক্যানসার রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে হবে বলে জানায়। চিকিৎসকেরা বলেন, বিনা ময়নাতদন্তে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না। এতেই বেঁকে বসে পরিবার। রোগীর পরিবার ও তাদের সাথে থাকা লোকজন বিনা ময়নাতদন্তে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার দাবি জানিয়ে চিকিৎসকদের প্রাণনাশের দেয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ওই মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ কার্যত দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আরও অভিযোগ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পিঙ্কু বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয় চিকিৎসকদের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী মাষকলাই বাড়ি এলাকার দুষ্কৃতীদের সাথে নিয়ে তাকেই দেখা গেছে হাসপাতালে গন্ডগোলের সময়। কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক জানান, দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের বাইরে বের হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। 
এই ঘটনার জেরে বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থানে বসলেন পড়ুয়া চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে এই খবর চাউর পড়তেই মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যান অন্যান্য চিকিৎসক ও অ্যা‌সিস্ট্যান্ট প্রফেসরেরা। চলে আসে জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদের প্রতিনিধিরাও। তারা চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার নিন্দা করেন।
ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। বুধবার সারাদিন অবস্থান চললেও স্বাভাবিক রয়েছে পরিষেবা, হাসপাতালে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে না আনলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

Comments :0

Login to leave a comment