Schizophrenia day

শুকনো নেশা থেকে বাড়ছে স্কিজোফ্রেনিয়া

কলকাতা

মেডিক্যাল কলেজে পালিত হল স্কিজোফ্রেনিয়া দিবস। তবে স্কিজোফ্রেনিয়া বলতে মানুষ যেমনটা ভয় পান বিষয়টা ততটাও জটিল নয় বলছেন চিকিৎসকরা। স্কিজোফ্রেনিয়া দিবসের আলোচনায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। মানসিক রোগ বলে রোগীকে দূরে সরানো নয়। বরং চিকিৎসার দ্বারা তা নিরাময় করা সম্ভব, বলছেন চিকিৎসকরা। ফলে যখনই রোগীর মধ্যে কোনও ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দেবে তখনই পরিবারের উচিৎ তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া। বহু ক্ষেত্রেরই দেখা যায় হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ওঝা, জোতিষি তাবিজ, কবজ মাদুলি পড়ানো হয় রোগীকে ফলে চিকিৎসার দিক থেকে অনেকটাই দেরী হয়ে যায় বলছেন চিকিৎসকরা। 
কিভাবে বোঝা যাবে রোগী স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত? প্রাথমিক ভাবে রোগী কোনও কিছু দেখে ভয় পান, একা একা কথা বলেন। ভাবেন তার কাছে এসে কেউ কথা বলছে, ভয় দেখাচ্ছে। নিজেকে ঘরে আটকে রাখছে ইত্যাদি। তবে সে স্কিজোফ্রেনিয়াতেই আক্রান্ত কি না সেটা বুঝতে পারবেন একজন চিকিৎসকই। তাই এরকম কোনও লক্ষণ দেখলে রোগীকে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গৌতম ব্যানার্জি জানান, ‘এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। কেন স্কিজোফ্রেনিয়া হচ্ছে সেই কারণটাও জানা গেছে। আগে আমাদের দেশে স্কিজোফ্রেনিয়ায় এতো ওষুধ পাওয়া যেত না কিন্তু এখন পাওয়া যায়।’ তবে চিকিৎসা না করে সমাজের ভয়ে ওষুধ না খাইয়ে বা চিকিৎসা মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও আছে। সাধারণ মানুষকে এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে তিনি জানান।
বুধবারের এই অনুষ্ঠানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা। ডিরেক্টরেট অফ হেল্থ সার্ভিস ডক্টর সিদ্ধার্থ নিয়োগী, ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর ইন্দ্রদীপ বিশ্বাস এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
তবে সাম্প্রতিক কালে নেশাও ডেকে আনছে স্কিজোফ্রেনিয়ায় মতো অসুখ। বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে গাজার নেশার প্রবনতা এতটাই বেড়েছে যে ছেলে মেয়েরা স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এই রোগে অল্প থেকে বেশী বয়সের ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসক গৌতম ব্যানর্জী জানান গাজা সেবন করলে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেইএবং বিভিন্ন মেডিক্যাল পরীক্ষায় তা প্রমাণিত। দেশে বিদেশের নানা জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে সেই তথ্য। সুতরাং অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের যেকোনও ধরনের নেশা থেকে নিজেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment