নতুনপাতা
জানা অজানা
নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জীবনে বেণীমাধব দাস
তপন কুমার বৈরাগ্য
বীর নেতাজি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারি
উড়িষ্যার কটক শহরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
পিতার নাম জানকীনাথ বসু এবং মাতার নাম
প্রভাবতী দেবী। বাবা মায়ের তিনি খুব প্রিয় ছিলেন।
কারণ অন্যান্যদের থেকে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ
আলাদা।ভারত তখন পরাধীন।পরাধীন দেশের
দুঃখ দুর্দশা দেখে একজন বালক চোখের জলে
ভাসিয়ে দিতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বদ্ধ
ঘরে বসে থাকতে ভালো বাসতেন না। সকল ছেলেদের সাথে
মিলেমিশে এক মিলনক্ষেত্র গড়ে তুলতেন । তিনি ছিলেন মিষ্টভাষী। নাম যে তাঁর সুভাষ।সুভাষ কথার অর্থইতো 'যে
সুন্দর কথা ' বলেন। ১৯০৯ সালে তিনি ভর্তি হলেন
রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। এখানকার প্রধান
শিক্ষকমহাশয় ছিলেন বেণীমাধব দাস।যিনি ছিলেন একজন
সত্যিকারের পণ্ডিত ব্যক্তি।আদর্শ শিক্ষক।নির্ভীক
দেশপ্রেমিক।তাঁর মেজছেলে ব্রিটিশ বিরোধী
কার্যকলাপের জন্য জেল খেটেছিলেন। তাঁর কন্যা
ছিলেন অগ্নিকন্যা সশস্ত্র অহিংসা আন্দোলনের
মহিয়সী নারী বীণা দাস।বীণা দাস বাংলার ব্রিটিশ
গভর্ণর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করার জন্য
নয় বছর কারাবাসে থাকেন।এমন একজন শিক্ষক পেয়ে
সুভাষচন্দ্র বসু ধন্য। বেণী মাধব দাস তাঁর কিশোর মনে
জ্বেলে দিলেন দেশপ্রেমের আগুন। তিনি সুভাষকে শুনাতেন
বীরপুরুষদের গল্প।শুনালেন ভারতের অতীত গৌরবের
কথা।দেশপ্রেমের সাথে সাথে তিনি সুভাষকে শেখালেন
প্রকৃতি প্রেমিক হতে। সুভাষচন্দ্র বসু প্রায় ছুটে যেতেন প্রকৃতির কোলে।সেখানে তিনি ধ্যানের অভ্যাস করেন।এর ফলে তিনি লাভ করেন ধৈর্য,শৌর্য, মানসিক জোর। জোর দিলেন শরীর গঠনের দিকে। তিনি বুঝেছিলেন সুঠাম দেহ না থাকলে দেশের
স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করা যায় না।
তাইতো তিনি সাবমেরিনে করে দীর্ঘ জলপথ অতিক্রম
করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ বরেণ্য নেতা হয়ে ওঠেন।
Comments :0