ধারাবাহিক ভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভার পঞ্চম দফার নির্বাচনে আগে সেই বিষয়টি তুলে ধরে রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে চিঠি দিলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘‘আমরা আগেও একাধিক অভিযোগ পত্রে তুলে ধরেছি, কিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। অভিযোগ পত্রগুলিতে তুলে ধরা হয়েছিল, কীভাবে মিথ্যাচার, ভীতি প্রদর্শন এবং খোলাখুলি ভাবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপি নেতৃত্ব। দুঃখের বিষয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আমরা কমিশনের আছে দাবি করেছিলাম, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তার বদলে আমরা দেখলাম, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব চাওয়া হল বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। একাধিক পর্যায় এবং স্তরে হইচই হওয়ার পরেই নির্বাচন কমিশন জবাব চায়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই চিঠিতে কোনও কাজ হয়নি। বরং বাড়তি উদ্যমে বিদ্বেষ ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী সহ বিজেপি নেতৃত্ব।’’
নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করে ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘‘ চলতি মাসের ১৬ তারিখ উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকিতে মোদী বলেছেন, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বুলডোজার দিয়ে রাম মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ১৭ মে বিহারের সারানের জনসভায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, আরজেডি এবং কংগ্রেস কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ রাখতে চায়। ১৮ মে বিহারের সিওয়ানের সভায় অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করে চারবার বিয়ে করা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’
সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘‘ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট, জনসভা থেকে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সরাসরি আক্রমণ করা শুরু করেছে বিজেপি। দেশে ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এর অন্যথা হলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভাব মূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়বে।’’
Comments :0