MALDAHA LEFT FRONT

তৃণমূলের দালালি ছাড়তে হবে পুলিশকে: সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য জেলা

MALDAHA LEFT FRONT সোমবার মালদায় এসপি দপ্তর অভিমুখে মিছিলে সুজন চক্রবর্তী, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র সহ নেতৃবৃন্দ।

উৎপল মজুমদার, মালদা

দালাল দিয়ে প্রশাসন চলে না। দালাল পুলিশের মাইনে মানুষের করের টাকায় হবে কেন? পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে আইনরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকে। তৃণমূলকে রক্ষা করা পুলিশের কাজ না। অপরাধীদের রক্ষা করলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবেন না। বামপন্থীদের পাশে রয়েছেন মানুষ। ভয় পেয়েছে বলে পঞ্চায়েতের দিন জানাচ্ছে না তৃণমূল সরকার।

সোমবার মালদায় জেলা বামফ্রন্টের ডাকে পুলিশের এসপি দপ্তর অভিযানের সভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির কর্মসূচিতে পুলিশের বাহিনী কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। 

রাজ্যে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার পুলিশ সুপারের দপ্তর অভিমুখে এই অভিযান হয়েছে। বামফ্রন্ট স্মারকলিপিতে দাবি করেছে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে করার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকে। ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনা কেন্দ্রের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

২০১৩’র পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ মনে করিয়েছেন চক্রবর্তী। তৃণমূল রাজ্যের সরকারে আসীন হওয়ার পর সেই ভোট করতে নানা টালবাহানা চালিয়েছিল তৃণমূল। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২০১৩’তে মালদহ জেলা পরিষদে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস আলাদা লড়ে ১৬ টি করে আসন পেয়েছিল। ৬টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। এমনই ভোজবাজি যে জেলা পরিষদের দখল নিল সবচেয়ে কম আসন পাওয়া তৃণমূল। এই জঘন্য প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আর তাঁর ম্যানেজার ছিলেন আজকের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।’’ 

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নেও চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ বুঝে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস হলো লুটেরাদের পার্টি। আর বিজেপি হলো তৃণমূলের সহযোগী। যেখানে ভোট হচ্ছে, সমবায়ে বা স্কুল-মাদ্রাসার পরিচালন সমিতিতে, বামপন্থীদের পাশে থাকছেন মানুষ।’’

এদিনই নাকাশিপাড়ার একটি সমবায় নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি জয়ী হয়। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ সঙ্গে নেই বুঝেছে বলেই তৃণমূল কংগ্রেস ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে। দখল করার সুযোগ না থাকলে ওরা পঞ্চায়েত পৌরসভার ভোট করায়নি। ২০১৩’র পঞ্চায়েত ভোট করতে সুপ্রিম কোর্টের গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একের পর এক পৌরসভায় বকেয়া নির্বাচন। হাওড়ায় ২০১৩’র পর ভোট হয়নি।’’

Comments :0

Login to leave a comment