উত্তর ২৪ পরগনা হাবরা ১ ব্লকের ঝনঝনিয়া, বাজে বেলেনি,কুচলিয়া কামারপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে। নির্বাচনের আগে থেকেই ঝনঝনিয়ায় ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু করে শাসক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশের নরম মনোভাবের জন্য ক্রমশই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সিপিআই(এম) প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টের প্রাণনাশের হুমকিও দেয় তারা। পার্টির পক্ষ থেকে গোবরডাঙা থানায় অভিযোগ করা হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সেই অভিযোগ তুলে নেবার জন্য পার্টি কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি চলছে। নির্বাচনে বাজেবেলেনিতে মাত্র ৯ ভোটে পরাজিত হয় সিপিআই(এম) প্রার্থী। নির্বাচনের পর সিপিআই(এম) সমর্থকদের লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে তৃণমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তরা।
কুচলিয়া আসনে পরাজিত হলেও কামারপাড়ার বহু যুবক এখানে সিপিআই(এম) প্রার্থীর হয়ে কাজ করে। নির্বাচন মিটতেই এই যুবকদের উপর বিভিন্ন কারণে হেনস্থা করতে থাকে তৃণমূলীরা। এমনকি সিপিআই(এম) সমর্থক কৃষকদের পাট ধুঁতে বাধা দেয় কিছু দুর্বৃত্ত। তাছাড়া রাস্তার মোড়ে ক্যারাম খেলার বোর্ড তছনছ করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ করতে গেলে দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পাশাপাশি চলছে মিথ্যা মামলা দেবার হুমকিও। স্থানীয় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। নির্বাচন উত্তর পরিস্থিতিতে বেড়গুম-১ এর বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে পার্টির গোবরডাঙ্গা হাবরা গ্রামীন ১ এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে গোবরডাঙ্গা থানায় প্রতিনিধিত্ব মূলক ডেপুটেশন দেয়া হয়। নেতৃবৃন্দ এ সব এলাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রশাসনের উপযুক্ত ভূমিকা দাবি করেন। তারা তৃণমূলের সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অপরাধীদের গ্রেপ্তার করারও দাবি জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এরিয়া কমিটির সম্পাদিকা স্বপ্না ঘোষ, সিপিআই(এম) নেতা অসীম ঘোষ, অশোক পাল, মৌসুমী দাস, সমীরণ সরকার, বিপ্লব দাস, রফিক মন্ডল প্রমূখ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Comments :0