JIBANTALA

জীবনতলায় উদ্ধার বিপুল পিস্তল-কার্তুজ, তল্লাশি লালবাজারে

রাজ্য

ক্যানিং থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল অস্ত্র। এদিন ক্যানিংয়ের জীবনতলা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ এমএম পিস্তল ও ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ডবল ব্যারেল বন্দুক। ঘটনার জেরে লালবাজারের একটি দোকানে চলছে তল্লাশি।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে বন্দুক গুলির সংগ্রহশালা তৈরি হচ্ছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের ভেতরের লড়াইয়ের জন্য এসব চলছিল বলে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় ক্যানিংয়ের জীবনতলায়। এই ঘটনায় চার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। এর মধ্যে একজন লালবাজারের একটি অস্ত্র সরঞ্জাম বিক্রির দোকানে কর্মচারী। এই দোকানটি যদিও বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা চালায়। তবে পুলিশের সন্দেহ ওই দোকান থেকেই সরবরাহ করা হয়েছিল কার্তুজ। লালবাজারের ওই দোকানে তল্লাশি চালাচ্ছে বেঙ্গল এসটিএফের আধিকারিকরা। 
প্রশ্ন উঠছে, বৈধ দোকান হলেও এমন বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম সরবরাহ বিনা নজরদারিতে চলে কিভাবে। আরও জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ এবং গুলি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি।  
সুজন চক্রবতী বলেন, "দক্ষিণ ২৪ পরগনা কলকাতা লাগোয়া। কাল বজবজ, আজ ক্যানিং। সবটাই ডায়মন্ডহরবার মডেল। ভাইপোর খাস লোক শওকত মোল্লা আছে জীবনতলায়। বজবজে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। জীবনতলায় রাউন্ডের পর রাউন্ড গুলি বন্দুক কার্তুজ উদ্ধার হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে গুলি বন্দুকের সংগ্রহশালা তৈরি হচ্ছে।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে গুলি বন্দুকের লড়াই চলছে। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের জন্য অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা কিছুই নেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment