MALDAHA BSF

বিএসএফ’র মারধরে হাসপাতালে গ্রামবাসী,
অসন্তোষ তীব্র মালদহের গ্রামে

জেলা

MALDAHA BSF ছবি প্রতীকী।

কারণ ছাড়াই গ্রামবাসীদের তুলে নিচ্ছে বিএসএফ। ক্যাম্পে তুলে নিয়ে মারাত্মক নির্যাতনও চলছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগে অসন্তোষ তীব্র হয়েছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের মিলিক সুলতানপুর গ্রামে। গ্রামবাসী অসুস্থ কুদ্দুস সেখকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে।

মালদহ জেলার এই অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম মিলিক সুলতানপুর। গত ১৫ মে বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর এই মিলিক সুলতানপুরে বাড়িতে ঢুকে দুই বিএসএফ জওয়ান গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস সেখকে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মিলিক সুলতানপুর বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে গোমাংস বাংলাদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়। প্রচণ্ড মারধর চলতে থাকে। কুদ্দুস সেখ অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসন এমন একাধিক ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। এর আগে দফায় দফায় প্রশাসনিক বৈঠকে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হলেও তা কার্যকর হয়নি। বিএসএফ’র ধরপাকড়ে নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের।

বাংলাদেশের সীমান্তের এই গ্রামের বেশ কিছুটা অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কথা। বিএসএফ বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। সন্দেহের বশে ধরপাকড় চলছে। এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ বার বার বিএসএফ’র অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। 

ঘটনার দিন কুদ্দুস শেখকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং মারধরের সময় আর্তনাদ শুনে গ্রামবাসীরা বিএসএফ ক্যাম্পে ছুটে যান। প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ফলে প্রায় এক ঘন্টা আটকে রাখার পর বিএসএফ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু কুদ্দুস সেখকে গোলাপগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। 

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই এলাকায় কাটাতারের বেড়া না থাকার সুযোগ নিচ্ছে বিএসএফ জওয়ানরা। নানা মিথ্যা অভিযোগে প্রায়শই গ্রামবাসীদের নানাভাবে হেনস্থা করছে। এর বিরুদ্ধে এক বছর আগে, ২০২২ সালের ২৫ মে, গ্রামবাসীরা একটি গণ-দরখাস্ত দেন জেলাশাসকের কাছে। সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীদের সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। 

কিন্তু প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। শুধু তাই নয় এলাকার মানুষদের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে বিএসএফ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকার  নাগরিকদের নিয়ে সভা হয় ২০২০’র ৫ ফেব্রুয়ারি, জেলা শাসকের কার্যালয়ে। কুড়িটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়, সমাধান সূত্রও উঠে আসে। ওই বছরই ৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন মহকুমা শাসক (সদর)। এরপর তিন বছর পার হয়ে গেলেও এখনো ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে না বিএসএফ বা প্রশাসন কোন উদ্যোগ নেয়নি।

Comments :0

Login to leave a comment