হরিপদ রায়- দিনহাটা
নদী ভাঙনের তলিয়ে গেল ১২টি বাড়ি সহ প্রায় দেড়শ বিঘে চাষের জমি। আরো ব্যাপক ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। বাস্তবচ্যুত মানুষ ইতিমধ্যেই রাস্তায় এবং গাছের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গত তিনদিনে এ ঘটনা ঘটেছে দিনহাটায় ১ নম্বর ব্লকের জারিধরলা ও দরিবস গ্রামে। এখনো পর্যন্ত প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়ায়নি এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের। যদিও দিনহাটায় ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সেচ দপ্তরের নজরে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণের জানা গিয়েছে, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের জারিধরলা ও দরিবস দু'টি গ্রাম। গ্রাম দু'টির একদিকে প্রবাহিত স্রোতস্বিনী ধরলা নদী। বাকি অংশগুলি বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। গত তিনদিন ধরে ধরলা নদীর জল বাড়তে থাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২টি বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গিয়েছে, এছাড়াও দেড়শ বিঘের উপরে চাষের জমি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। ফলে আশ্রয়হীন মানুষেরা কেউ রাস্তায়, কেউ গাছতলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের পাশে এখনো দাঁড়ায়নি এমনটাই অভিযোগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবুল কালাম আজাদ, এলাকার বাসিন্দা মিলন আলী প্রমুখরা বলেন, ‘‘গত তিনদিন ধরে ধরলা নদীর ভাঙ্গনে ১২টি বাড়ি এবং দেড়শ বিঘের উপর চাষের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আরো জমি ভাঙ্গনের আশঙ্কা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনরকম ত্রাণ তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।’’
দিনহাটায় এক নম্বর ব্লকের বিডিও গঙ্গা ছেত্রী বলেন, ‘‘জারিধরলা ও দরিবস দু'টি গ্রামের নদী ভাঙ্গনের বিষয় সেচ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। জল নেমে গেলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
Comments :0