SFI DYFI Palestine

মার্কিন উপদূতাবাসের মুখে ছাত্র-যুব মিছিলে বাধা পুলিশের

কলকাতা

মঙ্গলবার ক্ষোভ ছাত্র-যুবদের।

অনিন্দ্য হাজরা

পার্ক স্ট্রিটের সামনে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই'র মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। আমেরিকান কনসুলেট অবধি মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। মমতা ব্যানার্জির পুলিশ প্যালেস্তাইনের সমর্থনে হওয়া মিছিল আটকেছে। কলকাতা জেলার ছাত্র যুবদের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল। 

মঙ্গলবার এসএফআই-ডিওয়াইএফআই এই মিছিলের ডাক দিয়েছে প্যালেস্তাইনের নির্বিচারে বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে। দখলদারি চালাচ্ছে ইজরায়েল। বরাবরের মতো তার পিছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ছাত্র যুব বক্তারা বলছেন, কলকাতার রাজপথ চিরকাল আক্রান্তের পক্ষে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। সেই লড়াইকে সংহতি জানিয়েছে। অথচ সেই কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জির সরকার প্যালেস্তাইনের সংহতি মিছিল আটকেছে। ছাত্র যুব নেতারা প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে তৃণমূল একটি বারের জন্যও কেন সংহতির বার্তা দেয়নি? 

এসএফআই বলছে, বিজেপির মদতে ফুলেফেঁপে ওঠা গৌতম আদানির সাম্রাজ্য ইজরায়েলেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইজরায়েলের হাইফা বন্দরে পা রেখেছে আদানি গোষ্ঠী। তাই বিজেপির ইজরায়েলকে সমর্থনের যুক্তি মানা যায়। তারসঙ্গে রয়েছে মুসলমান বিদ্বেষের চেনা ছক। কিন্তু তৃণমূল এবং কলকাতা পুলিশ ইজরায়েল এবং আমেরিকার পাশে দাঁড়াতে এত তৎপর কেন?

একইসঙ্গে এসএফআই বলছে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার ভারত খোলাখুলি আগ্রাসনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়নি ভারত। এর বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র যুব সহ সমস্ত অংশের মানুষকে বেরিয়ে এসে পথে নামতে হবে। জনমত গড়ে বিজেপি সরকারকে বাধ্য করতে হবে নীতি বদলাতে।

সভায় বক্তব্য রাখেন এসএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে, সম্পাদক আতিফ নিসার, যুবনেতা শ্রীদীপ গোস্বামী, সোহম মুখার্জি। সভা পরিচালনা করেন ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি বিকাশ ঝা।

Comments :0

Login to leave a comment