Birbhum TMC

ইস্তফা দিলেন সিউড়ি পৌরসভার পৌরপ্রধান

জেলা

Birbhum TMC


দলের অন্তর্কলহের জেরে নানা টানাপোড়েন শেষে পৌরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিউড়ি পৌরসভার পৌরপ্রধান প্রণব কর। সোমবার সিউড়ির মহকুমা শাসকের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের পৌরপ্রধান। যা ঘিরে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বেশ চর্চা। গত কয়েকমাস ধরেই বর্তমান পৌরপ্রধানকে সরানোর তোড়জোর চলছিল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন থাকায় শাসকদলের নেতারা কোনরকম বিতর্কের অবতারনা করতে চান নি কৌশলগত কারণে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পেরোতে না পেরোতেই সিউড়ি পৌরসভার অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ সিলমোহর পেয়ে গিয়েছে বর্তমান পৌরপ্রধানের পদত্যাগপত্র জমা পড়তেই। 
পদত্যাগের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে পৌরপ্রধান প্রণব কর জানিয়েছেন, ‘‘শারিরীক ও পারিবারিক কারণে এই পদত্যাগ। শুধু চেয়ারম্যানের পদ থেকেই নয়, কাউন্সিলরের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি।’ মুখে কারণ যাই বলুক না কেন, ভাবভঙ্গিতে পদত্যাগী পৌরপ্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের অন্দরের বিবাদের কারণেই যে এই পদক্ষেপ তা। উল্লেখযোগ্যভাবে পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন,‘‘পৌরসভা চরম আর্থিক  সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাভাবে সুষ্ঠূভাবে পৌরসভা চালানো দায় হয়ে উঠেছে। সিউড়ির বিধায়ককে বারবার তা জানালেও কোনরূপ সহযোগীতা মেলে নি।’’ এই বয়ানই স্পষ্ট করে দিয়েছে শাসকদলের অন্তর্কলহকেই। 

সিউড়ির বিধায়ক মানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অনুব্রতর অবর্তমানে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরি। তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন পদত্যাগী চেয়ারম্যান। কয়েক মাস ধরেই চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরাতে সক্রিয় হয়েছিলেন সিউড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জি। যাকে মাঝপথে আর্থিক দূর্নীতির দায়ে সরিয়ে বর্তমান পৌরপ্রধানকে পদে বসিয়েছিল তৃণমূল। তবে তাতে দূর্নীতির প্রশ্নে পৌরসভায় লুটে খাওয়ার বন্দোবস্তের কোনও ফারাক হয় নি বলেই মত শহরবাসীর। সেই প্রাক্তন পৌরপ্রধান নিজের জায়গা ফিরে পেতে কাউন্সিলর ভাঙানোর খেলা শুরু করেন। শেষমেশ কয়েকমাস আগেই শহরের ২১ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ কাউন্সিলরকে নিজের দিকে টানতে সফল হন তিনি। ১৩ জন কাউন্সিলর পৌরপ্রধানকে সরানোর জন্য দলকে চিঠিও লেখেন। গোটা 'খেলা'য় যে সেই ১৩ কাউন্সিলর পাশে পেয়েছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায় চৌধুরিকে তা ঘটনাক্রমে পরিস্কার। তবে সিউড়ি পৌরসভায় নিয়মে পরিণত হওয়া পালা করে পৌরপ্রধান বদল প্রসঙ্গে শহরবাসী বিরক্তই। নাগরিকদের বড় অংশের মত, আদতে লুটের ভাগে কার দখল থাকবে তা নিয়েই ত লড়াই। শহরের উন্নয়ন তো তলানীতে। 

Comments :0

Login to leave a comment