অতীতে বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলিকেও ফাঁসানো হয়েছিল। এখন বিচারপতি অমৃতা সিন্হার স্বামীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকার আইনের শাসন প্রয়োগ করতে নারাজ। যারা আইন ভাঙছে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হার স্বামীকে বারবার সিআইডি তলব প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিভিন্ন সময়ে বিচারপতিদের হেনস্তায় তৃণমূলের ধারাবাহিকতা মনেও করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুধবার কলকাতায় সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফ্ফর আহ্মদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেলিম।
বিচারপতি অমৃতা সিন্হা দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে একাধিক নির্দেশে সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি’কেও তুমুল ভর্ৎসনা করেছেন তদন্তে গাফিলতির কারণে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে বিচারপতি সিন্হাই ইডি’কে নির্দেশ দেন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার প্রধান এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে।
সেলিম বলেন, ‘‘একদিকে তৃণমূল সাংসদ এবং সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাস থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানাচ্ছেন। তাতে ফল হয়নি। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর পিসি, সিআইডি’কে দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার স্বামীকে হেনস্তা করছে।
এই অভিজ্ঞতা আমাদের বারবার হয়েছে। আমাদের কর্মী নেতাদের বারবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জেলে নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতিদের বিরুদ্ধে এই আচরণ নতুন নয়, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে পোস্টার পড়েচিল। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে অসভ্যতা হয়েছিল। তাঁর এজলাস বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলিকে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে আসীন ছিলে। তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন ভূমিকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে সরানো হয়।
বিচারপতি অমৃতা সিন্হার স্বামী প্রতাপ দে নিজেও আইনজীবী। ডিসেম্বরেই তিনবার তাঁকে তলব করেছে সিআইডি। বার অ্যাসোসিয়েশনে চিঠিও দিয়েছেন এই আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের পৌঁছানো একটি মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিল। আইনজীবীর অভিযোগ, বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বিরুদ্ধে বলার জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছে সিআইডি। কুকথা বলেছে, গাড়ি-বাড়ির টোপও দেওয়া হয়েছে।
Comments :0