BRITAIN ELECTION

ব্লেয়ারকে ছাড়াবেন স্টার্মার? লেবার পার্টির বিপুল জয়ে নজর ব্রিটেনে

আন্তর্জাতিক

বিপক্ষ দলনেতা ঋষি সুনক হার স্বীকার করেই নিয়েছেন। ফল গণনা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই বিপুল জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে লেবার পার্টিও। এবার ব্রিটেন তাকিয়ে লেবার নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের রেকর্ড ভাঙছে কিনা।
১৯৯৭’র ব্লেয়ার রক্ষণশীলদের থেকে ১৭৯ আসনের ব্যবধান রেখেছিলেন। এবারও ৪০০’র বেশি আসন জিতে সেদিকেই এগচ্ছেন কায়ার স্টার্মারের লেবার পার্টি। ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্‌সের ৬৫০টি আসনের নির্বাচন চলছে। গত ১৪ বছর ধরে ব্রিটেনের ক্ষমতায় রয়েছেন রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ’রা। ধারাবাহিক রক্ষণশীল সরকারের আমলেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। সামান্য ব্যবধানে গণভোটে জয়ী হয়েছিল কনজারভেটিভরা। ‘ব্রেক্সিট’ সফল হয়। 
রক্ষণশীলদের শাসনকালে ব্রিটেনের অর্থনীতির দ্রুত গতিতে পতন হয়েছে। বিরোধীরা, বিশেষ করে লেবার পার্টি এরজন্য ব্রেক্সিটকে দায়ী করেছে। এর পাশাপাশি রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আমেরিকার সহযোগীর ভূমিকা নিয়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় খনিজ জ্বালানীর আমদানি বন্ধ করেছে ব্রিটেনের সরকার। তারফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বাড়ির ভাড়া। তারফলে ক্রয়ক্ষমতা কয়েকগুণ কমেছে দেশের শ্রমজীবী অংশের মানুষের। 
ব্রিটেনের মানুষের বক্তব্য, ঋষি সুনকের পাশাপাশি প্রাক্তন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের অর্থনৈতিক নীতির ফলে সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। লাগামছাড়া হারে বেড়েছে বিদ্যুতের বিল। মূল্যবৃদ্ধির হার সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারি নীতির ফলে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বা এনএইচএস’র বরাদ্দ কমিয়েছে রক্ষণশীল সরকার। তারফলেও সাধারণ মানুষ সঙ্কটে পড়েছেন। ভর্তুকি যুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা সঙ্কুচিত হয়ে আসায় সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়েছে। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেবার পার্টির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে এনএইচএসের বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বেড়ে চলা বাড়ি ভাড়ার হারও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জনমত সমীক্ষায় স্পষ্ট, সেই প্রচারে বিপুল সাড়া পড়েছে। 
এই নির্বাচনে লেবার পার্টির মূল স্লোগান হল, পরিবর্তনের জন্য ভোট দিন। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কায়ার স্টার্মার বলেছেন, ‘‘ব্রিটেনের ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখার নির্বাচন এটা।’’
তবে অভিবাসন বা অর্থনৈতিক নীতির প্রশ্নে স্টার্মারের নীতির সঙ্গে সুনকের ফারাক কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। লেবার পার্টির প্রাক্তন প্রধান জেরেমি করবিনের নীতির তুলনায় অনেকটাই দক্ষিণপন্থী স্টার্মার।

Comments :0

Login to leave a comment