হরিয়ানার হিংসা নিয়ে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সঙ্গে মামলাটিকে জরুরি শুনানীর তালিকাভুক্ত করলেন। হরিয়ানার নুহ জেলায় সাম্প্রদায়ক হিংসায় ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বুধবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খট্টার বলেছেন যে ‘সরকারের পক্ষে সকলকে রক্ষা করা সম্ভব নয়’।
নুহ’র ঘটনায় সাংবাদিক শাহিন আবদুল্লার আইনজীবী সিইউ সিং এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর কাছে জরুরী ভিত্তিতে শুনানীর আবেদন করেন। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন মামলাটি যেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়।
আইনজীবী সিইউ সিং সেই মামল নিয়ে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে জরুরী শুনানীর আবেদন করতে বিচারপতি চন্দ্রচুড় উদ্যোগ নেন। তিনি তার কক্ষে গিয়ে মামলাটি পড়ে তড়ীঘরী একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে এবং জরুরী ভিত্তিতে শুনানীর তালিকাভুক্ত করেন।
হরিয়ানার সাম্প্রদায়িক হিংসার আঁচ ইতিমধ্যে পৌছেছে দিল্লি সংলগ্ন এলাকা ও উত্তরপ্রদেশের বিলাস বহুল এলাকা গুরুগ্রামে। মঙ্গলবার গুরুগ্রামের বেশ কিছু এলাকা থেকে মঙ্গলবার অশান্তির খবর আসে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার ঘটে। দিল্লিতে এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কড়া নজরদারি জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতির দেখা হচ্ছে। গুরুগ্রামেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতেও দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের মিছিলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বরং তাঁদের মিছিলে অনুমতি থাকায় নতুন করে গন্ডগোলের আঁচ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যে মনু মানেসারের বিরুদ্ধে এতোদিন ধরে অভিযোগ উঠছে সে এখনও অধরা।
Comments :0