‘‘নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে বুঝিয়েছে সে রাজ্য সরকারের ধামাধরা। কমিশনকে অবাধ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে না। কেবল পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে হোক ভোট। মানুষই ব্যবস্থা করে নেবেন। তৃণমূল এখন আছে কেবল পুলিশের দয়ায়।’’
কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘কমিশনের কাজ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা। কমিশন কেবল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নয়, মানুষের কাছেও জবাবদিহি করতে বাধ্য’’।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কমিশনের ভূমিকায় আস্থা থাকার কথা নয়, বলেছেন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘জেলায় জেলায় এক কোম্পানি করে বাহিনী চাওয়াতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কমিশন কী চাইছে।’’
চক্রবর্তী স্পষ্ট করে দেন যে কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসা করে নেই সিপিআই(এম)। তিনি বলেছেন, ‘‘মনোনয়ন থেকে প্রত্যাহার পর্বে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। মানুষই রাস্তায় নেমে অধিকার রক্ষা করেছেন। প্রবল বাধা সত্ত্বেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কমিশনের দায়িত্ব শান্তিতে ভোট করানো। তা না করলে মানুষই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা রুখবেন। কিন্তু আমরা সেই পরিস্থিতি চাই না। নির্বাচন পর্বে এর মধ্যেই ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। হিংসা ঠেকানো কমিশনের দায়িত্ব।’’
বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একজন প্রার্থীর নাম দু’দেশের ভোটার তালিকায় রয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। কেন্দ্র কী করছে? আর কমিশনকে জবাব দিতে হবে বিদেশ থেকে মনোনয়ন হলো কী করে। যিনি ব্লক দপ্তরে গেলেন না তাঁর নামে প্রার্থীপদের আবেদন নেওয়া হলো কী করে। বিডিও এবং রিটার্নিং অফিসাররা তা’হলে কী করছিলেন। এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল ভুল স্বীকার করলে হবে না।’’
বিজেপি এবং তৃণমূলের দ্বৈরথকে সাজানো আখ্যা দিয়ে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে দুর্নীতির তদন্ত চলছে আদালতের রায়ে। অন্য রাজ্যের মতো সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই বা ইডি আসেনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। তদন্তে দুর্নীতির বহু তথ্য বেরলেও চক্রের মাথাদের শাস্তি হয়নি। বারবার তদন্তের গতি রুদ্ধ হয়েছে কেন? বিজেপি’কে এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।’’
Comments :0