Minakshi Mukherjee At Dinhata

দিনহাটায় অঞ্চল সভাপতির বাড়ল হেপাজত, তৃণমূল-ধর্ষণ যোগে ধিক্কার মীনাক্ষীর

রাজ্য জেলা

জয়ন্ত সাহা- দিনহাটা

চাকরির টোপ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আরও ৩ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত। গৃহবধূকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের কথা বলে বাপের বাড়ি থেকে ভাড়া করা গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত দিনহাটার তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান মিয়া ওরফে মান্নেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
মন্ত্রী ও সাংসদ ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতাকে বুধবার ফের দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদন নাকচ করে ফের তার ৩ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২২ মার্চ ফের অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে।
বুধবার ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি দিনহাটায় গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই রাজ্যে ধর্ষণ হবে আর তার পেছনে কোনও তৃণমূল নেতার নাম থাকবে না সেটা হয় নাকি! তিনি বলেন দিনহাটা জুড়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের কারখানা চলছে। আর যারা অন্যায় করছে তারা সব মন্ত্রীর কারখানার প্রোডাক্ট। 


মীনাক্ষী বলেন, সমাজের ভালো চান এমন যাঁরা তৃণমূলের কাছে আছেন, তাঁরা ওই দল থেকে দূরে সরে যান। ওদের সঙ্গে থাকবেন না। রাজ্যকে বাঁচাতে আসুন ওদের বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তুলি। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু দিনহাটার এই নির্যাতিতা নয় সারা রাজ্যের সব নির্যাতিতার পাশে ডিওয়াইএফআই আছে। তিনি বলেন, রাতে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে আনার পরেও কী করে অভিযুক্ত থানা থেকে পালিয়ে যায় তার তদন্ত চাই।
এদিকে আবদুল মান্নান ওরফে মান্নে মিয়ার ভয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও ভয়ে মুখ খুলছেন না বড় আটিয়াবাড়ির সাধারণ মানুষ! বুধবার এলাকার এক শিক্ষক বলেন, কেউ সরাসরি ওর বিরুদ্ধে কিচ্ছু বলবে না। কারণ মন্ত্রী থেকে সাংসদ, সবার অনুগামী এই মান্নে মিয়া। মিটিং থেকে মিছিল সবেতেই এই মন্ত্রী, সাংসদের পাশে থাকে। 
স্থানীয়দের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরে রাজনীতি শুরু মান্নের। স্রেফ মাস্তানি করেই তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য থেকে ব্লক কমিটির সদস্য হয়। আর এখন দলের অঞ্চল সভাপতি। এর মাঝে দলের টিকিটে চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং ২০১৩ সালে আটিয়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের চেয়ারেও বসেছিল এই অভিযুক্ত। 
মান্নের কঠোর শাস্তি চাইছে নির্যাতিতার বাবা-মা। মান্নের দলবলের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বের হচ্ছেন না ধর্ষিতার পরিবারের কেউই।

Comments :0

Login to leave a comment