সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি নিয়ে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরব হলেন অধ্যক্ষ চিকিৎসক পার্থ প্রতীম প্রধান। বৃহস্পতিবার বিরূপাক্ষ বিশ্বাস অনুগামী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপাদাপির পর সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার অধ্যক্ষ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বলেন যে কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় মোবাইল ব্যবহার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় তা হয়নি হয়নি। তবে ২০২৪ সালের পরীক্ষায় বেনিয়মের অনেক অভিযোগ এসেছে। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-র মতো আরো কয়েকজন ‘থ্রেট কালচার’-কে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কলেজেও করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, থ্রেট কালচার যারা করে তারা টিএমসিপি’র নাম করে করে।
আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ চক্রের বলে নাম রয়েছে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে’র। ছাত্রদের প্রতিবাদ সমানে বাড়তে থাকায় এই দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয় স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের সঙ্গে চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বৈঠকের মাঝে হামলা হয়। হামলার ঘটনায় বিরূপাক্ষ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুগামীদের দায়ী করছেন ছাত্র-চিকিৎসকরা।
অধ্যক্ষ বলেন যে সন্দীপ ঘোষ ধরা পড়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এবং তাদের নেতাদের ছত্রছায়ায় আছে এই অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, অধিকাংশ ছাত্রই শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহী। তারা যথেষ্ট কাজ করে। বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের পাল্লায় পড়ে কিছু ছাত্র এই থ্রেট কালচারে জড়িয়ে পড়েছে। এই অংশই বৃহস্পতিবার ওই কাউন্সিল সভা চলাকালীন হামলা চালায় এবং তাদের ঘর থেকে বাইরে বের করে দিলে দরজার কাজ ভেঙে দেয়।
অধ্যক্ষ বলেন যে এই বাহিনীই হাসপাতালের আন্দোলনরত কর্মীদের উপরেও নানাভাবে অত্যাচার করেছে। রাজ্যজুড়ে গড়ে ওঠা স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় সাগর দত্ত হাসপাতালে এসব কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা হয়েছে।
SAGAR DUTTA PRINCIPAL
টিএমসিপি’র নাম করে চলে ‘থ্রেট কালচার‘, সরব সাগর দত্তের অধ্যক্ষ
×
Comments :0