জনতার জীবনজীবিকা এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষায় লড়াইয়ে জোর বাড়াতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে। চার রাজ্যের ফলাফল এই দায়িত্ব নির্দিষ্ট করছে।
রবিবার চার রাজ্যের ফল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সরকার ছিল। মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে অনুমানের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি।
এদিনই কেরালার পালাক্কাডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নও হিন্দুত্ববাদী চিন্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কোথাও কোথাও ধারণা করা হয়েছিল যে নরম হিন্দুত্ব দিয়ে আরএসএস-বিজেপি’র হিন্দুত্বের বিপদকে মোকাবিলা করা যাবে। এই ধারণা ফের ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’’
ইয়েচুরি সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে বলেছেন, ‘‘জনতা রায় দিয়েছেন। বিজেপি তিন রাজ্যে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস তেলেঙ্গানায় জয়ী হয়েছে, ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে হারিয়ে সরকার গড়ছে।’’
নির্বাচনের গুরুত্ব প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘জনতার জীবনজীবিকা এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষায় লড়াইয়ে জোর বাড়াতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে। চার রাজ্যের ফলাফল এই দায়িত্ব নির্দিষ্ট করছে।’’
বিজয়ন বলেছেন, ‘‘বিজেপি’কে হারানো প্রয়োজন। বিজেপি শক্তিশালী এমন রাজ্যগুলিতে অন্য শক্তির সহায়তা নেওয়া উচিত কংগ্রেসের।’’
এদিন ফল বেরনোর সময়ই কেরালায় বিজেপি নেতা বলতে থাকেন যে লোকসভা ভোটের মেজাজ পরিষ্কার করে দিয়েছে ফলাফল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুশাসনের ফলাফল।
পালাক্কাডে ‘নব কেরালা সদা’ কর্মসূচির বিশাল জমায়েতে বিজয়ন বলেছেন, ‘‘অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও কংগ্রেসের সমস্যার কারণ। কোথাও কোথাও কংগ্রেস ভেবে বসেছিল যে জিতেই গেছে। এই মনোভাব সংশোধন করা জরুরি। কারণ দেশকে বাঁচাতে হলে বিজেপি’কে হারানো দরকার।’’
নভেম্বরের ৭ থেকে ৩০ ভোট হয়েছে মোট পাঁচ রাজ্যে। মিজোরামে গণনার দিন পিছিয়ে ৪ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিনই রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ৬ ডিসেম্বর হবে বৈঠক।
Comments :0