অঞ্জনা নদী বাঁচাতে ফের সরব নাগরিক সমাজ। ফের সেপ্টেম্বরে আয়োজিত করা হচ্ছে সচেতনতামূলক বিশাল পদযাত্রা। জলের অভাবে নদীয়ার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্জনা নদী দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। জলের অভাবের সঙ্গে নদী দখলদারদের আগ্রাসনের মধ্যে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের অতি পরিচিত ওই নদী। একদিকে নদীটির উৎসমুখ জলঙ্গীতে জলের জোগানের অভাব। আর তার মধ্যে আরেকদিকে কৃষ্ণনগর শহরে চলছে নদীবক্ষে বেআইনি ইমারত নির্মাণ। এই দুয়ের মধ্যে পড়ে অঞ্জনা নদী তার অস্তিত্ব হারানোর পথে।
অঞ্জনা নদীর পূর্ববস্থা ফিরিয়ে দিতে ২০১৯ সালে কিশোর বাহিনীর উদ্যোগে দু’দিনের সচেতনতামূলক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ৩২ কিলোমিটার লম্বা ওই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন প্রচুর সচেতন মানুষ। মানুষের ওই সদর্থক প্রচারের জেরে নদীর কিছু সংস্কারের কাজও হয়েছিল। বাদকুল্লা থেকে রানাঘাট চূর্ণি নদী পর্যন্ত অঞ্জনাকে বাধা মুক্তের অনেকটা চেষ্টা করা হয়েছে।
অঞ্জনা নদীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে গড়ে উঠেছে অঞ্জনা নদী বাঁচাও কমিটি। ওই কমিটির একটানা আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়েছে নদী সংলগ্ন এলাকায় ইমারত গড়ার কাজ। তবে এখনো অঞ্জনা নদীকে পুরোদস্তুর বাধামুক্ত করা যায়নি। আর সেজন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফের দু’দিনের বড় কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর ৩২কিলোমিটার নদীপাড়ের রাস্তা ধরে চলবে দীর্ঘ পদযাত্রা। এখন চলছে সেই প্রস্তুতি। গত রবিবার অঞ্জনা নদী বাঁচাও কমিটি, কিশোর বাহিনী ও দোগাছি অঞ্জনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির তরফে একটি প্রতিনিধি দল নদীপারের গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন। ওই দল বিভিন্ন সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, নদীকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, দীপক রায়, নিখিল হালদার, আমির চাঁদ শেখ, দেবাশিস হালদার, কিরীটি সাহা প্রমুখ।
Comments :0