এদিন মালদা শহরে সিআইটিইউ, কৃষকসভা, খেতমজুর ইউনিয়নের যৌথ আহ্বানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ছাত্র, যুব এবং মহিলারাও। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মালদা জেলার পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে করে মারধোর করা হয়।
গোটা জেলার বিভিন্ন ব্লক ও পৌরসভা এলাকা থেকে বাম কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুরুতে মালদহ টাউন হল থেকে মিছিল বের হয় এবং শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রথবাড়িতে মিছিল শেষ হয়। পরে এখানে হয় ধিক্কার সভা হয়।
মালদহের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরেও মিছিল হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন ১২ জুলাই কমিটির ডাকে জলপাইগুড়ি বড় পোস্ট অফিস মোড় থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল হয়। মিছিল শহর পরিক্রমা করে কদমতলা মোড়ে এসে কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে। অবরোধে সামিল হন ১২ জুলাই কমিটি, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, এবিটিএ সহ কর্মচারী ও শিক্ষক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি শহরেই এদিন অপর একটি মিছিল হয়। মিছিল করেন সিআইটিইউ, কৃষক এবং খেতমজুর সংগঠনের কর্মীরা।
একইসঙ্গে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌর অঞ্চলে সিআইটিইউ, ছাত্র যুব মহিলা এবং কো—অর্ডিনেশন কমিটির তরফে মিছিল হয়। সেখানে মণিপুর, মালদার ঘটনার পাশাপাশি হাওড়ার পাঁচলায় তৃণমূলের হাতে অত্যাচারিত মহিলাদের কথাও তুলে ধরা হয়। অমরাবতী মোড় থেকে শুরু করে পিয়াস নগর অবধি এই মিছিল হয়।
পানিহাটির পাশাপাশি বরানগর, ব্যারাকপুর ইত্যাদি অঞ্চলেও এই ইস্যুতে মশাল মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার মণিপুর এবং মালদার ঘটনার প্রতিবাদে হুগলীর শ্রীরামপুরে মিছিল করেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও মিছিল হয়। মিছিলে সামিল হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নৌকাজীবীরাও। এদিন মহিষাদলে পশ্চিমবঙ্গ নৌকাজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে বিক্ষোভ সভা হয়। কৃষক এবং খেতমজুররাও যোগ দেন বিক্ষোভে।
Comments :0