‌Anis Khan

শ্রদ্ধায় স্মরণ আনিস খানকে

রাজ্য জেলা

আনিস খানের অমর স্মৃতিকে বুকে নিয়ে স্বৈরাচারী শাসক আর শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবিচল থাকার শপথ নিতে রক্তদান শিবির হলো আমতায়। সোমবার সিপিআই(এম) আমতা ২ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আনিস খানের গ্রাম সারদা দক্ষিন খাঁপাড়ায় এই রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি, পার্টির হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, আনিসের বাবা সালেম খান। এছাড়াও ছিলেন পার্টির হাওড়া জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পরেশ পাল, সাবিরউদ্দিন মোল্লা। সভা পরিচলানা করেন পার্টিনেতা সন্তোষ অধিকারি। এরপর রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের গোলাপ ফুল দিয়ে সংবধর্না জানান তাঁরা। রক্তদান শিবিরে মোট ৪১ রক্তদাতা রক্তদান করেন।
উদ্বোধন করতে গিয়ে শ্রীদীপ ভট্টাচার্য বলেন, আনিস খান ছাত্র আন্দোলনের একজন সেনানী ছিল। অল্প বয়স থেকে সে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিল। দুর্নীতি ও অন্যায় হলে সে প্রতিবাদ করতো। তার অপরাধ ছিল এটাই। সেই অপরাধে রাজ্যের পুলিশের মদতে তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। যারা ভয় পায় প্রতিবাদীদের তারা আনিসদের পছন্দ করতে পারেনা।
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ইনসাফ যদি বুঝে নিতে হয়, তাহলে মানুষের দরজায় যেতে হবে। আনিস প্রতিবাদ করে খুন হয়ে শিখিয়ে গেছে কিভাবে বাঁচতে হয়। বাঁচতে হয় প্রতিবাদে, বাঁচতে হয় আন্দোলনে, বাঁচতে হয় কোমর সোজা করে বুকে সাহস রেখে মাথা উচু করে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রতিবাদী যুবক আনিসকে সরিয়ে দিলো রাজ্য সরকার। তার আগে সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল, আনারুল আরো অনেকে। মা বোনদের উপর অত্যাচার শুধু সন্দেশখালী নয়। আমতা জানে কিভাবে মুক্তিরচকে দলবদ্ধ ধর্ষণ হয়েছিলেন দুই গৃহবধু। জনজীবনে সমস্ত সঙ্কট আছে। সংবিধান আজ আক্রান্ত। দুই সরকারের বিরুদ্ধে হিসাব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে হবে।
আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, আমার ছেলের খুনের আজ ২ বছর অতিক্রান্ত। আমার ছেলের খুনীরা আজও শাস্তি পায়নি। আমি চাই আমার ছেলের খুনীরা শাস্তি পাক।
 

Comments :0

Login to leave a comment