আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও চার রাজ্যে ভোট রয়েছে। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা। এই চার রাজ্যের মধ্যে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে সরকারে রয়েছে কংগ্রেস। কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশে জয়ের পর এই চার রাজ্যকে পাখির চোখ করতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৪মে দিল্লিতে এই চার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের এই চার রাজ্যে কি ভাবে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে নামা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এই চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করলেও মাত্র ১৫ মাস সেই সরকার টিকে ছিল। কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা এবং তা নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহ চাপে ফেলেছিল কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের এই আভ্যন্তরিন সমস্যাকে কাজে লাগিয়ে দল ভাঙিয়ে ওই রাজ্যে সরকার গঠন করে বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার পড়ে যায়। তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই রাজ্যে তারা এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগাতে চাইছে। সূত্রের খবর, কর্ণাটকের মতো এই রাজ্যেও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ছাড়, মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান সহ একাধিক জনমুখী প্রকল্প বা প্রতিশ্রুতি তারা সামনে আনতে পারে। উল্লেখ্য বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে যা নিয়ে চাপে রয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে রাজস্থানে সরকার টিকিয়ে রাখলেও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলটের দ্বন্দ্ব বার বার কংগ্রেসকে চাপে ফেলেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন পাইলট। তবে কর্ণাটক বিধানসভার ফল ঘোষণার পর নিজের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন তিনি। এই রাজ্যে কংগ্রেসের পাশাপাশি বামপন্থীদের শক্তিও রয়েছে। সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে একাধিক বার সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন কৃষকরা। আর কৃষকদের সেই দাবি মেনেও নিয়েছে গেহলট সরকার।
কংগ্রেস সূত্রে খবর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তেলেঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএস এর সাথে জোট করে তারা লড়াই করতে পারে।
কি হবে না হবে তা ২৪মে’র বৈঠক থেকে হয়তো ঠিক হবে। আবার নাও হতে পারে তবে কংগ্রেসকে যেই জিনিস মাথায় রাখতে হবে তা হলো – নির্বাচনে জেতার পর কোন দ্বন্দ্ব যেন দলের কাছে কাঁটা হয়ে না দাঁড়ায়, যা পড়ে বিজেপিকে সাহায্য করবে।
Comments :0