Cow vigilante Faridabad killing

ফরিদাবাদে তাড়া করে ছাত্রকে হত্যার পিছনে স্বঘোষিত গোরক্ষকরাই

জাতীয়

এই আরিয়ান মিশ্রকেই খুন করেছে স্বঘেষিত গোরক্ষক বাহিনী।

স্থানীয় সকলে বলছে লোকটি ‘গোরক্ষক’ বাহিনীর পাণ্ডা। কেবল ফরিদাবাদের পুলিশই অস্বীকার করে চলেছে যে অনিল কৌশিকের সঙ্গে গোরক্ষা বাহিনীর যোগসাজশ রয়েছে। 
২৩ আগস্ট রাতে গাড়িতে করে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গুলিতে নিহত হয় দ্বাদশের পড়ুয়া আরিয়ান মিশ্র। তাদের গাড়িটির পিছনে ধাওয়া করেছিল আরেকটি গাড়ি। সেই গাড়িতে ছিল পাঁচজন। আরিয়ানরা ভেবেছিল চোর-ডাকাত কেউ তাড়া করেছে। প্রাণভয়ে পালাতে চেষ্টা করলেও পিছনের গাড়ি তাদের ধরে ফেলে। গুলিও চালানো হয়। নিহত হয় আরিয়ান। দেহে দু’টি বুলেটের ক্ষত ছিল।
স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমে জানিবেছেন যে গরু পাচারকারী ভেবেই আরিয়ানদের গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিল অনিল কৌশিক। সঙ্গে ছিল তার পাঁচ সঙ্গী। গুলিো চালায় তারা। কিছু পরে বুঝতে পারে সামনের গাড়ি গরু পাচারকারীদের নয়। তখন ফিরে আসে। কিন্তু মারা যায় আরিয়ান। 
হরিয়ানায় গোরক্ষার নামে সামাজিক তাণ্ডবের আরেক ছবি সামনে আসতেই পুলিশ এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সঙ্গে গোরক্ষকদের সংযোগের দাবি খারিজ করতে নেমে পড়েছে। হরিয়ানায় সামনে ভোট। সরকারে আসীন বিজেপি। হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্ত এবং দিল্লির সংলগ্ন অঞ্চলেও বিভিন্ন ভিডিও-তে মুসলিম বিরোধী উগ্র প্রচার শুরু হয়েছে। 
একটি ইংরেজি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে প্রধান অভিযুক্ত অনিল কৌশিকের মা স্বীকার করেছে যে ছেলে গোরক্ষক বাহিনীর মাথা ছিল। তবে তিনি দাবি করেছেন এই হত্যাকাণ্ডে ছেলের যোগ নেই। কৌশিকের বাড়ির সামনে একাধিক গাড়িতে তথাকথিত ‘গোরক্ষার’ নামে পোস্টার স্টিকারও দেখতে পেয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তবু হরিয়ানা পুলিশের দাবি ঘটনার সঙ্গে গোরক্ষক বাহিনীর যোগের প্রমাণ নেই!
পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলে চলেছেন যে তাঁরা ন্যায় সংহিতা পাশ করে দেশে অপরাধের বিচারের কাঠামোয় বিপুল উন্নতি করে ফেলেছেন। অথচ দেখা যাচ্ছে যে এমন বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশ অপরাধের প্রধান কারণ অস্বীকার করতেই ব্যস্ত।’’
কারাত ফরিদাবাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘যা ঘটেছে মারাত্মক। তাড়া করে গুলি চালিয়ে দিচ্ছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। গোরক্ষার নামে মানুষের ওপর এমন তাণ্ডব হচ্ছে। অপরাধীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। দিল্লিতে ভিডিও ঘুরছে। যাতে বলা হচ্ছে মুসলিমদের আক্রমণ করতে পারলে আর্থিক পুরস্কার মিলবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment