Parliament

হিন্দি চাপিয়ে দিতে টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্রই, শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে ফের সরব ডিএমকে

জাতীয়

কানিমোঝি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত লোকসভা। জাতীয় শিক্ষানীতির তিন ভাষা নীতির বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হয়েছেন ডিএমকে সাংসদরা। সোমবার এই বিষয় আলোচনার দাবি জানিয়ে সরব হন তাঁরা। মঙ্গলবার সংসদ ভবনের বাইরে তারা বিক্ষোভ দেখান কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সরব হয়েছে ধর্মেন্দ্র ‘অসভ্য’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে। ডিএমকে মঙ্গলবার স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়েছে লোকসভার অধ্যক্ষকে। 
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে সোমবার থেকেই। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তামিলনাড়ুর সাংসদদের অসভ্য বলে আক্রমণ করেন। সেখান থেকে শুরু হয় বচসা। ডিএমকে সাংসদদের দাবি এই নয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে রাজ্রযের মানুষের ওপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন কয়েকদিন আগে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলির সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন কোন ভাবে তারা হিন্দি চাপিয়ে দেওয়াকে মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে রাজ্যের মানুষ বর্তমান প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হিন্দি ভাষা শিখে নেবে, কিন্তু তিন ভাষা নীতির নাম করে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়াকে তারা সমর্থন করেন না। এদিন কানিমোঝি বলেন যে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। সেখানেও বলেছেন যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের শর্ত হিসেবে তিন ভাষা নীতি মেনে নেওয়াকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই নীতি মানা সম্ভব নয়। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা অসঙ্গত শর্ত চাপিয়ে আটকে রাখবেন না। কিন্তু সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান একতরফা তামিলনাডুর সরকারকে আক্রমণ করে গিয়েছেন।  
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেস সাংসদ মণিকম ঠাকুর বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার কোনও ভাবে কাম্য নয়। তবে এটা দেখে ভালো লাগলো অধ্যক্ষ এর বিরুদ্ধে সরব হন এবং তাঁকে বাধ্য করেন কথা ফিরিয়ে নিতে।’’ তিনি আরও বলেন, সংসদের অভ্যন্তরে বিজেপি সাংসদদের এই ভাষা আরএসএস এবং বিজেপির দম্ভের প্রকাশ পায়। 
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কানিমোঝি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুর টাকা আটকে রাখছে আর বলছে জাতীয় শিক্ষানীতি মানতে এবং তিন ভাষা নীতি রাজ্যে চালু করতে। তামিলনাড়ুর পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিতে চাইছে তারা। তাদের কোন অধিকার নেই রাজ্যের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে শেষ করার।’’ তার কথায় গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সাথে সাথে রাজ্যের মানুষকে অপমান করেছেন ‘অসভ্য’ বলে, তাঁর মুখে এই ধরনের ভাষা শোভা পায় না। অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে।

Comments :0

Login to leave a comment