মাঝের ধাক্কা সামলে দলকে ১৫০’র গন্ডী টপকাতে সাহায্য করেছিলেন যোগ্য অধিনায়কের মতোই। অক্সর প্যাটেলকে সঙ্গী করে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছিলেন দলের ইনিংসকে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটল ১৮ তম ওভারে। স্বদেশীয় জেসন বেহরেনডর্ফের মিডিয়াম পেসে প্যাভেলিয়নে ফেরত গেলেন ওয়ার্নার এবং অক্সর প্যাটেল দুই জনেই। তাঁরা ফিরে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল দিল্লির অবশিষ্ট লাইন আপ। ১৭২ রানে শেষ হয় দিল্লির ইনিংস। মুম্বইয়ের সামনে জয়ের টার্গেট ছিল ১৭৩ রান।
সহজেই সেই রান সংগ্রহ করে ফেলে মুম্বই। ২০ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ১৭৩/৪।
শুরু থেকেই চওড়া ব্যাটে ‘টার্গেট’-এর দিকে এগোতে থাকে মুম্বই। মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও সামনে থেকে নিজের দলকে নেতৃত্ব দেন। অপর ওপেনার ঈশান কিষাণের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে প্রাথমিক ভিত্তি গড়ে দেন তিনি। এই জুটি ৭ ওভারে ৭০ রান সংগ্রহ করে। রোহিত এবং ঈশান আউট হওয়ার পরে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন তিলক ভার্মা।
মঙ্গলবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দিল্লি ক্যাপিটালস্ এবং মুম্বই ইন্ডিয়ানস। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
দিল্লির ইনিংসে ওপেনার ওয়ার্নার, মনীশ পান্ডে এবং অক্সর প্যাটেল ছাড়া কেউ বলার মতো রান করতে পারেন নি। ওয়ার্নার ৫১ রানে আউট হন। মনীশ ১৮ বলে ২৬ রান করে আউট হন। অক্সর আউট হন ৫৪ রানে। অক্সরের সঙ্গে জুটি গড়ে বড় রান গড়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন ডেভিড ওয়ার্নার।
মুম্বইয়ের হয়ে ৩ করে উইকেট নেন স্পিনার পীযুষ চাওলা এবং মিডিয়াম পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ। ১২টি উইকেট নেন রাইলি মেরেডিথ এবং ঋত্ত্বিক শোকিন নেন ১টি উইকেট।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরে দিল্লি লাইন আপ স্পিনের ছোবল মারেন পীযুষ। তাঁকে সঙ্গত দেন রাইলি মেরেডিথ। তারফলে ৮.৩ ওভারে ৭৬/২ রান থেকে ১২.৩ ওভারে ৯৮/৫ এ এসে দাঁড়ায় দিল্লির ইনিংস।
সেখান থেকে যোগ্য অধিনায়কের মতোই দলকে টেনে নিয়ে যান ওয়ার্নার। কিন্তু ১৮ তম ওভারের মাথায় হওয়া ছন্দপতন আর আটকাতে পারল না দিল্লি।
অপরদিকে দিল্লির হয়ে মুকেশ কুমার ২টি এবং মুস্তাফিজুর রহমান ১টি উইকেট নেন।
Comments :0