Kamalnath

প্রদেশ সভাপতির পদ ছাড়তে বলা হয়েছে কমলনাথকে : সূত্র

জাতীয়

মধ্যপ্রদেশে হারের পর কমলনাথকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে বললো দল। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। এবার মধ্যপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল। বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা, দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয় ছিল যাকে সমানে রেখে লড়াইয়ে নামতে পারত কংগ্রেস। কিন্তু কোনটাতেই তারা সফল হতে পারলেন না। দল ভাঙিয়ে ২০২০ সালে বিজেপি কমলনাথ সরকার ফেলে দিয়েছিল, সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ভোটারদের মনে দাগ কাটতে পারেনি কংগ্রেস। 

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের হারের পর থেকে দলের অভ্যন্তরের বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ মনে করছে যে বিরোধীকংগ্রেস শাসকবিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল নির্বাচনের প্রথম থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হলেও ২০২০ সালে যে ভাবে দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি তা নির্বাচনী প্রচারে সেই ভাবে তুলে আনতে পারেনি কংগ্রেস। নির্বাচন পর্বে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশে ৬৩৪টি সভা করেছে বিজেপি। প্রচারে নেমেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান একা ১৬৫টি সভা করেছেন। সেই জায়গায় কংগ্রেস মাত্র ৩৫০টি সভা করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ মাত্র ১১৪টি সভায় উপস্থিত থেকেছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে রাজনীতিতে নতুন মুখ বর্তমান সময় একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে তেলেঙ্গানায় যার রসদ ঘরে তুলেছে কংগ্রেস। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ার পর এই রাজ্যে নতুন কাউকে সামনে আনতে পারেনি কংগ্রেস যার প্রভাব ভোট বাক্সে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
উপজাতি অধ্যুষিত মহাকোশল অঞ্চলে যেখানে ৩৮টি আসন রয়েছে এবং কমলনাথের গড় বলে পরিচিত সেখানে বিজেপি কংগ্রেসের থেকে ভালো ফল করেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment