ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে কসবা কাণ্ডে ডিআই অফিসে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের উপরে দোষ চাপালো কলকাতা পুলিশ। তাদের দাবি আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে প্রথমে পুলিশকে আক্রমণ করা হয়। রিটন দাস কসবা থানার যেই এআই শিক্ষকদের লাথি মারলেন তার পাশে দাঁড়ালো কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ১৩ জন পুলিশ কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। কিন্তু যেই ভিডিও ফুটেজ লালবাজারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারিরা ব্যারিকেড ভেঙে ডিআই অফিসের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করছে। এছাড়া অন্যান্য ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আন্দোলনকারিদের আটকাতে গেলে তারা পুলিশের হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছেন, এই ঘটনা গুলোকে হিংসা বলছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতার কমিশনার মনোজ ভর্মা দাবি করেন, ‘‘শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা যাবেন বিক্ষোভ দেখাতে, তাদের কাছ থেকে এই ধরনের আচড়ন আশা করা যায় না।’’
তিনি বলেন, ‘‘যার বিরুদ্ধে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে সে আহত হয়েছেন। আরও অনেকে আহত হয়েছেন মেডিকেল রিপোর্ট আছে। শিক্ষকরা একজন পুলিশকে মারবে এটা কি আশা করা যায়। পুলিশকে কেউ আহত করবে আর পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেবে না এটা হতে পারে না।’’
মনোজ ভর্মার দাবি বুধবার কসবার ঘটনায় বাইরের লোকেরা শিক্ষকদের কর্মসূচির ভিতর ঢুকে সমস্যা তৈরি করে।
উল্লেখ্য বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই মনোজ ভর্মা বলেন, ‘‘কসবা ডিআই অফিসে হঠাৎ করে কয়েকজন ঢোকার চেষ্টা করেন। আমাদের ছয় জন আহত হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকারা যদি কোনও কর্মসূচি নিতে চায় তাহলে পুলিশ তার ব্যবস্থা করবে যদি তারা আগে থেকে জানিয়ে রাখে। কসবার কর্মসূচিতে পুলিশের কাছে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।’’
কসবায় সেদিন ডিআই অফিসে যাওয়া আন্দোলনকারিদের কথায় তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশের ব্যারিকেডের অপর দিকে বসেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। তাঁরা ব্যারিকেড টপকে ডিআই অফিসে ঢুকে স্মারকলিপি দিতে গেলে ভিতরে ঢুকে লাঠি চালাতে থাকে পুলিশ। নির্বিচারে চলে লাঠিচার্জ। আহত হন অনেকে। একজনের পা ভেঙে গিয়েছে।
Kolkata Police
কসবা কাণ্ডে অভিযুক্ত এসআই-এর পাশে লালবাজার

×
Comments :0