Junior Doctors

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ জুনিয়র ডাক্তারদের

রাজ্য

ফাইল ছবি

মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনের একগুঁয়েমির জন্য গত শনিবার আলোচনা ব্যর্থ হয়। সোমবার ফের কালীঘাটে রওনা দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদিও বৈঠকের ফলাফল এখনও জানা যায়নি। এদিন দু'জন নিজস্ব স্টেনোগ্রাফারকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টা ১৯ মিনিট নাগাদ কালীঘাটে এসে পৌঁছায় আন্দোলনকারীরা। সেখানে মোতায়েন রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে  বৈঠক শুরু হয়।  এদিন পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের তিরিশ জনের প্রতিনিধি দল এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন। কার্যবিবরণী নথিভুক্ত করার জন্য দুজন স্টেনোগ্রাফারকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। 
এদিনের বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সহ বৈঠকে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি রাজীব কুমার, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে ভিড় জমিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। বৈঠক চলে রাত পৌনে নটা প্রর্যন্ত। 
সুপ্রিম‍‌ কোর্টে আর জি করে চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুন নিয়ে মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার। তার আগে আইনজীবী বদল করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং-কে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। 
গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জুনিয়ার ডাক্তাররা গেলেও বৈঠক হয়নি। সরাসরি সম্প্রচারের দাবি থেকে সরে জুনিয়র ডাক্তাররা কেবল নিজেরাও ভিডিও হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। সরকার বলে কেবল তারাই ভিডিও করতে পারবে। শেষ পর্যন্ত আরও নমনীয় হয়ে কেবল আলোচনার লিখিত মিনিটস এবং তাতে দু’পক্ষের সই রাখার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। ‘দেরি হয়ে গিয়েছে’ জানিয়ে সেই দাবিও খারিজ করেছে রাজ্য। এদিন মিনিটস এবং দু’পক্ষের সই রাখার কথা বললে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হন। আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘ এখানে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। ফিরে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  তাতে আন্দোলন যদি আরও দীর্ঘ বা তীব্র হয় হবে।’’  
সুপ্রিম‍‌ কোর্টে আর জি করে চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুন নিয়ে মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার। আর জি করের এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বে‍‌ঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। বেঞ্চে রয়েছেন আরও দুই বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র। মামলার প্রথম শুনানি হয় গত ২০ আগস্ট।
শুধু এই ঘটনার ন্যায়বিচারই নয়, যৌন হিংসা এবং পুলিশি দমনের বিরুদ্ধে কার্যকরী নির্দেশ দানের দাবি করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে খোলা চিঠি লিখলেন বিশ্বের প্রবাসী ভারতীয় নাগরিক ও সুশীল সমাজ। চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছে, জাতীয় টাস্কফোর্সকে আন্দোলনকারত ডাক্তার, পড়ুয়া, মহিলা সহ এই ইস্যুতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট যেন একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের নির্দেশ দেয় সে বিষয়েও আর্জি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে।

Comments :0

Login to leave a comment