সেলিম এদিন প্রশ্ন তোলেন, এই তৃণমূল রুখবে কী করে বিজেপি’কে?
এদিন বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেছেন, দমকল মন্ত্রীর বাড়িতেই আগুন! বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরেই বিপর্যয়! কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এসব করেও আসল প্রশ্নটা আড়াল করতে পারবে না। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে তদন্ত এগোচ্ছে না? সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় ইডি অফিসারদের ওপরে হামলা মারাত্মক ঘটনা। তার উপযুক্ত ধারায় এফআইআর করে কেন সন্দেশখালির আসল দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? শাজাহানকে কোথায় কে লুকিয়ে রেখেছে? সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ইনটেলিজেন্স বিভাগের তো সব জানার কথা, ইডি’র তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেসব কই! এসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বিজেপি নেতারা এখন বাম বিরোধিতায় ব্যস্ত হয়ে অভিষেক ব্যানার্জিকে গলে সরে পড়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এই শাজাহান আগে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে, তারপর মুকুল রায়ের হয়ে, শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হেফাজতে ছিল। তৃণমূলের পাঠশালায় বড়ো হওয়া শুভেন্দু অধিকারীরা তৃণমূলকে ঠেকাবে না, আর চোর জোচ্চোরে ভরা তৃণমূল এরাজ্যে বিজেপি’কে ঠেকাবে না।
মিডিয়ার হইচইয়ে নজর সরিয়ে শাজাহানকে তৃণমূলের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর মতোই বিজেপি’ও বিলকিস বানোর ধর্ষণকারী ও খুনীদের বেপাত্তা করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেলিম। তিনি বলেছেন, গুজরাট উত্তর প্রদেশে খুনী ধর্ষণকারীদের বিজেপি আড়াল করছে, আর পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি চক্রের মাথায় হাত দিচ্ছে না। এরজন্যই আদালতের এবেঞ্চ ওবেঞ্চ ঘুরেও সফল না হয়ে তৃণমূল আরএসএস-বিজেপি’র বেঞ্চে গিয়ে বসে আছে। রাজ্যের মানুষকেই ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য দাঁড়াতে হবে, তার জন্যই ইনসাফ ব্রিগেড হয়েছে।
জন্মদিবসে বিবেকানন্দকে নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি’র রাজনীতির নিন্দা করে সেলিম বলেছেন, বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চৌপাট করেছে ওরা। সরকারি দপ্তর ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে নিজেদের দলীয় প্রচার সেরেছে, দলবদল করিয়েছে। এমনকি মহাপুরুষদেরও নিজেদের দলের বলে প্রচার করেছে। তবে আগে নানা মহাপুরুষদের সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির ছবি থাকতো, এখন মহাপুরুষরা বাদ গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেবল তাঁর ভাইপো’র ছবি থাকে।
রাজ্যের জেলায় জেলায় ছাত্রযুব উৎসব বাতিল করা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেলিম বলেছেন, বিজেপি তৃণমূল যুবদিবস উদযাপনের নামে মন্দির মসজিদের রাজনীতি করছে। জেলায় নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ির ঠ্যালায় ছাত্রযুব উৎসব বাতিল করছে। বামফ্রন্ট সরকার ব্লকস্তর থেকে ছাত্রযুব উৎসব করতো সৃজনশীলতা ও সামাজিক সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে। আন্তর্জাতিকতাবাদ গড়ে তোলা হতো এর মাধ্যমে। এখন সবই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
Comments :0