মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানালো তৃণমূলের কর্মীরা। আর তার সাক্ষী রইলো মাথাভাঙা।
তৃণমূল বিরোধী রাজনীতি করার জেরে মাথাভাঙা-২ ব্লকের বাসিন্দা এক মহিলাকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হলো। সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াও হয়েছে।
অমানবিক ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক শিবানী পাল ও সভাপতি শিখা আদিত্য শনিবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি ওই মহিলা বিরোধী রাজনীতি করার কারণেই ভোটের ফলপ্রকাশের দিন থেকে ভয়ে, হুমকিতে ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। গত ২৫ জুন তিনি বাড়ির বাইরে বের হতেই আক্রান্ত হন। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।’’
সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ারও তীব্র নিন্দা করে মহিলা সমিতি বলেছে, ‘‘কুৎসিত ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টিকে ‘প্রতিবেশীদের মধ্যে গন্ডগোল’ বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।’’
জঘন্য ঘটনায় পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মহিলা সমিতি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ছাত্র-যুব ও মহিলারা শনিবার কোচবিহার শহরে ধিক্কার মিছিলও করেছে। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জানিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে সংগঠন।
এদিকে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তার মেয়ের ওপর হামলাকে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদ বলে তৃণমূল নিজেদের কুকীর্তি আড়াল করতে চাইছে। তৃণমূল বিরোধী রাজনীতির শিকার হয়েছে মেয়ে।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুন মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে গত ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার! গুরুতর জখম মহিলাকে প্রথমে ঘোকসাডাঙা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিগৃহিতা মহিলার অভিযোগ, ভোট গণনার দিন থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে থাকে তৃণমূল। স্বামী বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সেদিন থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন। ২৫ জুন বাড়ির বাইরে যেতেই হামলার শিকার হয়েছেন।
এদিকে পুলিশ ও তৃণমূল একযোগে দাবি করছে বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে।
Comments :0