Uluberia Hospital

আত্মহত্যা না হৃদরোগ, রোগীর মৃত্যুতে বিতর্ক উলুবেড়িয়ার হাসপাতালে

জেলা

এই শৌচালয়েই রোগী আত্মহত্যা করেছেন, অভিযোগ পরিবারের। ছবি: মণিরুল ইসলাম

আত্মহত্যা না হৃদরোগ, এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই বিবাদে জড়ালো পরিবার ও হাসপাতাল। 
বৃহস্পতিবার বিকেলে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাপি মালিক (২৯) নামে এক যুবকের। উলুবেড়িয়া থানা এলাকার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাওতা গ্রামের এই যুবক চিকিৎসাধীন ছিলেন। 
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের শৌচালয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। উলটোদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাপি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কুড়ি দিন আগে মহেশপুরের রাওতা গ্রামের বাপি মালিক পেটে ও বুকে যন্ত্রণা নিয়ে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হযন। বাপি পেশায় ছিল নির্মাণ শ্রমিক। হাসপাতালে দেখভাল করছিলেন তাঁর মা। ক'দিন ধরে হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। একবার বুক থেকে জলও বের করা হয়। এদিন দুপুরে বাপির মা কিছুক্ষণের জন্য বাড়িতে যাযন। এর কিছুক্ষণ পরেই, বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ হাসপাতাল জানায় যে বাপি মারা গিয়েছেন। পরিবারের বক্তব্য, হাসপাতালে এসে জানা যায় যে বাপি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাপির জামাইবাবু দীপাঞ্জিত ভৌমিক বলেন, ‘‘বাপি কুড়ি দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বুকে জল জমেছিল। কদিন পরে তাঁর যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ে। বাপির বুক থেকে জল বের করা হয়। এদিন বিকেলে আমার শাশুড়ি মা ফোন করে বলে বাপি গলায় দড়ি দিয়েছে। সেই খবর শুনে আমরা হাসপাতালে চলে আসি।’’
মৃত বাপির মা আরতি মালিক জানান, ‘‘বাপির খুব বুকে যন্ত্রণা হচ্ছিল। আমি এদিন কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি গিয়েছিলাম। বাপি বারবার ফোন করে আমাকে বলছিল কখন হাসপাতালে আসবে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন যায় আমার কাছে। হাসপাতালে এসে দেখি এই ঘটনা।’’ 
হাসপাতালের সুপার অগ্নিহোত্রী ভট্টাচার্য বলেছেন, মৃতের পরিবার অসত্য অভিযোগ করছে। বাপি মালিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment