JU CONVOCATION SUJAN CHAKRABORTY

ক্ষমতার লড়াইয়ে বিপন্ন ছাত্রছাত্রীরা, যাদবপুরে সমাবর্তন প্রসঙ্গে চক্রবর্তী

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

ছাত্রছাত্রীদের কাছে সমাবর্তন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিগ্রি পান তাঁরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে দেখা হলো না। 
যাদবপুরে সমাবর্তন জটিলতা প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই সরব হলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি চলছে। নবান্নের কত ক্ষমতা, রাজভবনের কত ক্ষমতা।’’
রবিবার সোনারপুরে এসএফআই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ৩০ সম্মেলনের প্রকাশ সমাবেশে ভাষণ দেন চক্রবর্তী। 
রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুপস্থিতিতেই হয়েছে ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠান। কলকাতায় থাকলেও আসেননি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র চেয়ারম্যান। অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সমাবর্তনের আগের দিন, শনিবার রাতে, সরিয়ে দেন আনন্দ বোস। সাউ এদিন অনুষ্ঠানে থেকেছেন রাজ্যপালের বারণ সত্ত্বেও। তবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন সহ উপাচার্য। 
নবান্ন এবং রাজভবন দু’পক্ষকেই উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘‘এরা শিক্ষা বিকাশের শক্তি না। এরা শিক্ষার সংহারের শক্তি।’’ চক্রবর্তী মনে করিয়েছেন যাদবপুরের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বললেন তিনি আচার্য হবেন। জাল ডিগ্রি অথচ আচার্য হবেন, লজ্জাও করে না। এবার রাজভবন বলল আমিই বা কম কিসে! ক্ষমতার লড়াই চলল।’’
সাউ জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকারের অনুরোধে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য এবং রাজভবন, দু’তরফের পাঠানো চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশ জানাচ্ছে, রাজভবন সাউকে উপারা্যের পদ ছাড়ার জন্য বেশ কয়েকদিন বলে আসছিল। 
চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য পদে সাউয়ের নিয়োগ নিয়েই। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল আচমকা বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করলেন। উপাচার্য পদে বসার জন্য দশ বছর অধ্যাপনা করতে হয়। সাউ তা করেননি। অযোগ্য লোককে বসানো হলো উপাচার্য পদে। এখন অপছন্দ হয়েছে তাই সরিয়ে দেওয়া হলো।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজভবন, নবান্ন দু’তরফেই অন্যায় হচ্ছে। এখন আর স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী, স্বঘোষিত শিক্ষাবিদরা কোথায়? যাঁরা বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে কথায় কথায় বিরোধিতা করতেন তাঁদের আজ দেখা যাচ্ছে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment