DHUPGURI BY ELECTION CPI(M_

জনতার ঐক্য সংহত করে লড়াইয়ের ডাক ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে

জেলা

DHUPGURI BY ELECTION CPIM ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রস্তুতিতে কর্মীসভা সিপিআই(এম)’র।

‘ভারত ভাবনা’ আক্রান্ত হচ্ছে আরএসএস-বিজেপি’র শাসনে। জলপাইগুড়িতে জেলা সিপিআই(এম)’র ডাকে নির্বাচনী কর্মীদের নিয়ে সংগঠিত সাধারণ সভায় বললেন রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জীবেশ সরকার। 

সরকার বলেন, ‘‘দার্জিলিং জলপাইগুড়ি শহর গোটা পশ্চিমবাংলার উত্তর অংশে জনজাতি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি কায়েম করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে বিজেপি আরএসএস। একই বিভাজনের নীতি নিয়ে চলছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এরা দুই দলই পাহাড়ে গিয়ে বলছে ‘বাঙালিদের আমরা সমঝে দেব। গোর্খারা একত্রিত হও। আবার সমতলে এসে বলছে গোর্খাদের বাড়াবাড়িটা ঠেকাতে বাঙালিরা আমাদের সাথে থাকুন।’ ঠিক একইভাবে চা বাগানের আদিবাসীউত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনজাতির মানুষকেও এরা ভুল বোঝাচ্ছে। আরএসএস-বিজেপি’র বিরোধিতা কখনো তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে না।’’ 

ধূপগুড়িতে বিধানসভা উপনির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। এই নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে চোর তার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান পার্টি নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ সদর শাখার উদ্যোগে গণসংগীত পরিবেশিত হয়। সভা শুরু করেন জেলা সিপিআই(এম) সম্পাদক সলিল আচার্য।  তিনি বলেন, ‘‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে বুথ স্তর থেকে শুরু করে এরিয়া কমিটির জেলা কমিটি  সহ সমস্ত স্তরের পার্টি কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এত বড় নির্বাচন লড়া সম্ভব ছিল না যদি সমর্থক দরদীরা পাশে এসে না দাঁড়াতেন।’’ দাঁতে দাঁত চেপে এই লড়াই লড়বার জন্য সমস্ত স্তরের নির্বাচনী কর্মীদের অভিনন্দন লাল সেলাম জানান তিনি। 

৫ সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে সকলকে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেভাবে বনভূমিতে বসবাসকারী বনবস্তির মানুষ ও আদিবাসী মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে তার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আদিবাসীদের জমি থেকে উচ্ছেদ করে মণিপুরের মাটির নিচে যে খনিজ সম্পদ লুট হবে। তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দখল করে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতেই মনিপুরে জাতি দাঙ্গা বাঁধিয়েছে বিজেপি।’’

আলম বলেন, ‘‘গরিব মানুষ ও শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য যাতে বিনষ্ট করা যায় সেই লক্ষ্যেই আরএসএস বিজেপি কাজ করে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের এরা তৃণমূলের বিরোধিতা করে বামপন্থীদের সুখ্যাতি করছে ঠিকই কিন্তু ত্রিপুরাতে বুলডোজার দিয়ে বেছে বেছে সিপিআইএম’র পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। তাই আরএসএস বিজেপি’র মুখোশের পিছনের চেহারাকে সামনে আনতেই শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য গড়ে আদিবাসীবনবস্তিবাসীচা শ্রমিকমেহনতী মানুষদের কাছে পৌঁছাতে হবে বামপন্থীদের।’’ 

 

Comments :0

Login to leave a comment