SHIMLA OPS

শেয়ার বাজারে পেনশনের টাকা নয়, দাবি সিমলার রেলকর্মীদেরও

জাতীয়

সিমলায় সমাবেশে রেলকর্মীরা।

সমানে জোরালো হচ্ছে দাবি। কাশীপুরে প্রতিরক্ষা কর্মীরা যে দাবিতে সমাবেশে সেই পুরনো পেনশন প্রকল্প চেয়েই সিমলায় অবস্থানে রেলকর্মীরা। 
কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বিভিন্ন স্তরে জোরালো হয়েছে নতুন পেনশন প্রকল্প বাতিলের দাবি। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রে বিজেপি জোট সরকারের সময়ে চালু হয়েছিল নতুন পেনশন প্রকল্প। শেয়ার বাজারে অবসরের অর্থ খাটানোর নীতিতে সমর্থক ছিলেন সরকারে শরিক মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস। 
বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের সিমলায় অবস্থানে শামিল হন নর্দার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সদস্যরা। স্টেশনে এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বিশাল জমায়েত হয় শীত উপেক্ষা করে। 
শেয়ার বাজারে পেনশন তহবিলের অর্থ খাটিয়ে কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করার নীতিতে তীব্র বিরোধিতা করেছেন বামপন্থীরা। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার কেন্দ্রের চাপ অগ্রাহ্য করেও পুরনো পেনশন প্রকল্প বহাল রাখে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়। এখন বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাও জাতীয় স্তরে যৌথ মঞ্চ গড়ে নেমেছেন আন্দোলনে। দিল্লিতে রামলীলা ময়দানে হয়েছে সমাবেশও। 
বস্তুত নয়া উদারবাদী বিশ্বায়নের অন্যতম দাওয়াই ছিল পেনশন প্রকল্পের বেসরকারিকরণ। পুরনো পেনশন প্রকল্পে অবসরের ঠিক আগে শেষ বেতন স্তরের অর্ধেক পেনশন চালু ছিল। নতুন পেনশন প্রকল্পে সঞ্চিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার পর মূলধনের যা মান দাঁড়াবে পেনশন হবে তার ভিত্তিতে। 
কর্মচারীদের অভিযোগ, নতুন পেনশন প্রকল্প চালুর সময় বিপুল প্রতিদানের গল্প শোনানো চলত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নামমাত্র মিলছে পেনশন। সেই সময়ে কংগ্রেসও নতুন প্রকল্পের সমর্থক ছিল। এখন বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সরকারই পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফিরছে। কেন্দ্রে আসীন বিজেপি লোকসভা ভোটে ‘চারশো পার’ আসনের স্লোগান তুললেও দেশজুড়ে এই ক্ষোভ চিন্তায় রেখেছে।

Comments :0

Login to leave a comment