ইউক্রেনে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার। একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করেছে, যা হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি কৌশলগত অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার হিসবে চিহ্নিত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কয়েকদিন পর মস্কো এই হামলা চালাল, যা এখন এক হাজার দিন ধরে চলা সংঘাতে নতুন করে আগুন ঢেলে দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের আরএস-২৬ রুবেজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার পাল্লা ৫ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কোনো পরমাণু ওয়ারহেড ছিল না।
ইউক্রেনের নিপ্রোর বিভিন্ন সংস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
ইউক্রেনের অভিযোগ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট বক্তব্য জানায়নি রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, এ বিষয়ে সামরিক বাহিনী মন্তব্য করবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ৩৩ মাসের সংঘাত গত কয়েকদিনে তীব্র হয়েছে। রাশিয়া পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে আমেরিকার নেতৃত্বে চলা যুদ্ধজোট ‘ন্যাটো’-কে।
এর আগে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বাইডেন রাশিয়ার গভীরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দেন ইউক্রেনকে। রাশিয়া জানায় যে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের পরপরই ইউক্রেন আমেরিকার তৈরি ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আনতঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক মিসাইল সম্পর্কে অভিযোগ তুললেও তার বিশদ জানায়নি ইউক্রেন। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কেও কোনও তথ্য দেয়নি। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম যদিও এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে। বলা হয়েছে, রাশিয়ার আস্ত্রাখান অঞ্চল থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে ইউক্রেনের নিপ্রোর আশেপাশে পড়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এদিন জানিয়েছেন পোলান্ডে পরমাণু অস্ত্র সম্ভার সাজিয়েছে ন্যাটো। পোলান্ডের রেজিকভোতে ২০১৬ থেকে পরমাণ অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করছে ‘ন্যাটো’।
Ukrain Russia war
আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ ইউক্রেনের, বাড়ছে উত্তাপ
×
Comments :0