জাতীয় শিক্ষা দপ্তর বাতিলের ফরমানে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিক্ষাঋণ যদিও মকুব করেননি। সরকার হাত গুটিয়ে নেওয়ায় এই ঋণ আদায়ের দায়িত্ব কোন সংস্থাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে মার্কিন মুলুকে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, শুক্রবার জাতীয় শিক্ষা দপ্তর বাতিল করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকটি অংশ কেবল নয়, উগ্র দক্ষিণপন্থার বিরুদ্ধে বারবার রাস্তায় নেমেছেন এমন বিভিন্ন অংশই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের।
শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে শিক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব পাঠিয়ে দেওয়া হলো প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
এদিন আমেরিকার বিভিন্ন অংশ বলেছে যে এবার শিক্ষাঋণের টাকা আদায়ে বেপরোয়া বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করতে পারে ট্রাম্প এবং তাঁর প্রধান সহযোগী ধনকুবের এলন মাস্কের প্রশাসন।
এতদিন বিপুল শিক্ষাঋণের বোঝা কমাতে জাতীয় সরকারের কাছেই দাবি উঠছিল। পূর্বতন জো বাইডেন প্রশাসন দাবি খানিকটা মানতে সম্মত হয়েছিল। এবার ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকদের এমন দাবি জানানোর রাস্তা আর খোলা রইল না।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে যে শিক্ষাঋণ আদায়ের দায়িত্ব ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রশাসনের হাতে দেওয়া হবে।
ঘটনা হলো, এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রশাসন এর মধ্যেই মোট কর্মীর ৪৩ শতাংশ ছেঁটে ফেলেছে। এদিকে জাতীয় শিক্ষা দপ্তরের এক্তিয়ারে থাকা ঋণের অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি ডলারের বেশি।
ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষামহলের বিভিন্ন অংশের আশঙ্কা গোটা প্রক্রিয়ায় ঋণের শর্ত কঠিন হবে। অনাদায়ী ঋণের বোঝা কমানোর জন্য আবেদন জানানোর কাউকে পাওয়া যাবে না। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর আর্থিক সঙ্কট আরও বাড়বে। বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব শিক্ষা দপ্তরের বদলে স্বাস্থ্য দপ্তরকে দেওয়া হবে। যাদের এ সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা নেই।
Trump Education Loan
শিক্ষাঋণের জালে ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সঙ্কট বাড়বে আরও, শঙ্কা আমেরিকায়

×
Comments :0