CPIM leader Sujan Chakraborty reaction

‘শেষ কোথায়’, পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা হিংসা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুজন চক্রবর্তী

কলকাতা


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্রমেই বাড়ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলে প্রতিদিনই রাজ্যের জেলা থেকে উঠে আসছে হিংসা চিত্র। বোমা-বারুদের গন্ধ, আর রক্ত স্রোত বইতে শুরু করেছে গ্রামে গ্রামে। বৃহষ্পতিবার মূর্শিদাবাদে খুন হলেন নদীয়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীণা বিশ্বাসের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ও পরে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়।


তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ‘শেষ কোথায়’ প্রশ্ন তুললেন তিনি। ‘‘তৃণমূল দলটাকে কি মুখ্যমন্ত্রী সামলাতে পারবেন? যেভাবে লুঠের বখরা নিয়ে এক নেতার সঙ্গে আরেক নেতার লড়াই চলছে। হাত-পা উড়ছিল এখন জান চলে যাচ্ছে। তৃণমূল পশ্চিমবাংলার জন্য যে কি ভয়ঙ্কর বিপদ গোটা রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে। মুখ্যমন্ত্রীর কি সামলাবার যোগ্যতা আছে? পুলিশ মন্ত্রীর নাম কিন্তু মমতা ব্যানার্জি।’’


শিক্ষাক্ষেত্রে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী থেক প্রাক্তন আমলারা জেলে। কিন্তু কোনও কিছু নিয়েই আন্দোলন করতে গেলেই জুঠছে কামড়, মার ঘুষি, লাথি। রাজ্যে চলতে থাকা অরাজকতা নিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন ‘‘ যারা যুক্তি সঙ্গত ভাবে চলছেন, ন্যায্য দাবির জন্য লড়ছেন তারা বিপদে আছেন। চাকরি প্রার্থীরা কামড় খাচ্ছেন পুলিশের। ডিএ যারা চাইছেন অথবা শূণ্য পদে নিয়োগ যারা চাইছেন তারা পুলিশের লাথি খাচ্ছে, পুলিশের ঘুষি খাচ্ছে, পুলিশের জুতো খাচ্ছে। জামিন অযোগ্য ধারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও আদালত থেকে তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর! এই পরিস্থিতি ভাবা যায় না।’’ তিনি আরও বলেন ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সৎ, সচ্ছ মানুষ মাথা নিচু করে চলছেন। আর দুষ্কৃতী, লম্পট, লুটেরা বাহিনী ঘুরে বেরাচ্ছে। এ জিনিস পশ্চিমবঙ্গে আর বেশী দিন চলবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment