১৪ আগস্ট হিন্ডেনবার্গ কান্ডের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। বুধবার কেন্দ্রীয় আর্থিক নিয়ামক সংস্থা সেবিকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে আদানি হিন্ডেনবার্গ কান্ডের শুনানি চলে। সেবির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির চরিত্র যথেষ্ট জটিল। খুব দ্রুত এই তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়। সেবির তরফে আদালতের কাছে দাবি জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার জন্য আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন।
এর জবাবে আদালত জানায়, সেবিকে বাড়তি সময় দিতে আদালতের আপত্তি নেই। কিন্তু এখনও অবধি তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, ১৪ আগস্ট সেই রিপোর্ট সেবিকে জমা দিতে হবে।
অপরদিকে আদানি-হিন্ডেনবার্গ কান্ডে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যেই মুখবন্ধ খামে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, গরমের ছুটি শেষে সেই রিপোর্ট খোলা হবে।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এদিন বলেন, সেবি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট এই শিল্প গোষ্ঠীকে আড়াল করতে চায়।
তুষার মেহেতা এর বিরোধীতা করে বলেন, ২০১৬ সালের কোনও ঘটনাকে তুলে ধরে, তারসঙ্গে আদানি এবং হিন্ডেনবার্গ কান্ডকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা ভিত্তিহীন। ২০১৬ সালের পরে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর কোনও বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছিল না, তাই সেবি তদন্ত করে নি।
[ad}
২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ সংস্থার তরফে আদানি পেপার্স প্রকাশ্যে আনা হয়। হিন্ডনবার্গের দেওয়া তথ্যে দাবি করা হয়, কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানি। এই ঘটনা সামনে আসায় প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আদানি গোষ্ঠীকে। ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারও। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ মদতেই শেয়ারে কারচুপি করতে পেরেছে আদানি। বিরোধীরা জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তেরও দাবি জানান। সেই দাবি সরকার না মানলেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সেবি। ২ মে’র মধ্যে তদন্ত শেষের কথা থাকলেও এখনও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে উঠতে পারে নি সেবি।
Comments :0