ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্য মৃত্যু। বুধবার সকালে ট্যাংরার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। চারতলা বাড়ি সিসিটিভিতে ঘেরা। এদিন সকালেই বাইপাসে অভিষিক্তার সামনে একটি বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে। আহতদের কাছ থেকে একটি ঠিকানা পাওয়া যায়। ২১/সি অতুল সুর রোড। ওই ঠিকানা ধরে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখে তিনজনে দেহ মাটিতে পড়ে আছে।
চারতলা বাড়ির দোতলায় দেহ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে কোন রক্তের দাগ নেই। রক্তের দাগ পাওয়া যায় তিন তলায়। গোটা ঘটনা জানা জানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। আনা হয় স্নাইপার ডগ। বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে লালবাজারের পক্ষ থেকে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, অর্থীক কোন সমস্যার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। গোটা বিষয়ের তদন্ত তারা করছে।
অন্যদিকে ওই পরিবারের যেই তিনজন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তিনজনে মধ্যে একজনে জ্ঞান আছে বাকি দুজনের জ্ঞান নেই। তিনজন আহতের মধ্যে দুজন ভাই আছেন তারা হচ্ছেন প্রণয় দে এবং প্রসূন দে। আহত একজন জানিয়েছে আত্মহত্যা করার জন্য তারা বাইপাসের ধারে পিলারে ধাক্কা মারে। 
বাড়ি থেকে যেই দুজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন শিশু আছে। মৃত দুজনের নাম রোমি দে এবং সুদেষ্ণা দে। পরিবারের এই ছয় সদস্য একসাথে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল বলে লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Tangra Suicide
কলকাতার একই পরিবারের ছয় জনের আত্মহত্যার চেষ্টা, মৃত তিন
                                    ট্যাংরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। ছবি : অচ্যুৎ রায়।
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0