শিলিগুড়ির একটি খাবারের হোটেলে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে কর্মী পরিমল দাসের। দরজা তালা দিয়ে বন্ধ করা ছিল। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবিতে মহকুমা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছে সিআইটিইউ। সংগঠনের দার্জিলিঙ কেলা কমিটি নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে শিলিগুড়ি সেবক মোড়ে অশোকা হোটেলে আগুন লাগে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তালা বন্ধ অবস্থায় থাকা হোটেল কর্মী পরিমল দাসের হোটেলের ভেতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তিন সন্তান, স্ত্রী ও মা রয়েছেন।
সিআইটিইউ বলেছে, এর আগে শিলিগুড়িতে সেবক রোডে দুই নাবালক হোটেল শ্রমিক এবং শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় এক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। হোটেলের দরজায় তালা ছিল। হোটেল মালিক শ্রমিককে ভেতরে রেখে রাতের বেলায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে বাড়ি যান। আগুন লাগলে শ্রমিকরা বেরতে পারেন না।
সিআইটিইউ দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, যে কোন দুর্ঘটনায় শ্রমিক মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। বাইরে থেকে তালাবন্ধ থাকায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা আরো মর্মান্তিক। মালিকের অমানবিক কাজের জন্য প্রাণহানির দায় কে নেবে ? ঘটনার পরে আটদিন সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
শিলিগুড়ি শহরে হিলকার্ট রোডে রাস্তার ধারে বেআইনি হোটেল ব্যবসা চলছেই। যে ব্যবসার না আছে কোন ফুড লাইসেন্স, না আছে ব্যবসাগুলিকে ঘিরে কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই হোটেলগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের কোন নিরাপত্তাও নেই। শিলিগুড়ি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসন একেবারেই নির্বিকার।
এদিন স্মারকলিপি দেবার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা বিমল পাল, অজয় চক্রবর্তী, মোহন পান্ডা, তিলক গুন, সুবিমল ঘোষ, উদয়ন দাশগুপ্ত প্রমুখ।
Comments :0