নতুন করে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মঙ্গলবার মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো আট। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। বিধ্বংসী ভূমিকম্পের দু’সপ্তাহের মাথায় ফের সোমবার কম্পন অনুভূত হয় তুরস্কের হাতায়ে প্রদেশে। দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদ জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ওই দিনের কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪। জখমদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিরিয়ার সীমানা লাগোয়া হাতায়ের ডেফনে শহর এই ভূকম্পনের উৎসস্থল। ফলে সিরিয়ারও একটি অংশজুড়ে ফের কম্পন হয়েছে। সিরিয়ার হামা ও তারতুসে আতঙ্কে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা ও কিশোরী। পাশাপাশি জোরদান, সাইপ্রাস, ইজরায়েল, লেবানন এমনকী বহু দূরে মিশরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এক সেকেন্ডের মধ্যে কম্পনের তীব্রতা কমে হয় ৫.৮। পরপর অন্তত ১২টি অনুকম্প হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮। তুরস্কের যে দশটি প্রদেশ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার মধ্যে হাতায়ে অন্যতম। হাজার-হাজার বহুতল ভেঙে পড়েছে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভূমিকম্পের জেরে এই প্রদেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্টাকিয়ায় গভর্নর হাউজও এদিনের কম্পনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ভাঙাচোরা ঘরের মধ্যেই ঢুকে পড়ছেন দুর্গতরা। সরকারি আধিকারিকরা যদিও সতর্ক করেছেন, ইট-কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে না থাকতে। কিন্তু পর্যাপ্ত আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি প্রশাসন। ছয় তারিখের ভূমিকম্পে তুরস্কের ১১টি প্রদেশজুড়ে ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তুরস্ক এবং সিরিয়া মিলিয়ে মৃত্যু সরকারি হিসাবে ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টায় পরপর তিনবার ভূকম্পন হয়। অনুকম্পের সংখ্যা ছাড়ায় ২০০। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে গেলেও ঠান্ডায় খোলা আকাশে নিচে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অনেকে।
Comments :0