তৃণমূল এবং বিজেপির নেতারা কথায় কথায় বলে, আমরা কাজ দিচ্ছি, আমরা বাড়ি দিচ্ছি, আমরা টাকা দিচ্ছি। এই নেতারা এবং তাঁদের দলের দুই সরকার কি চাকরি করে উপার্জিত টাকা আমাদের দিচ্ছে? বরং আমাদের প্রাপ্য টাকা, আমাদের ট্যাক্সের টাকা আমাদের ফিরিয়ে নিজেরা নাম কিনতে চাইছে। এগুলো আমাদের বুঝতে হবে। প্রতিটা পাই পয়সার হিসেব চাইতে হবে। অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের খাঁপুরে তেভাগা শহীদ দিবসের সভায় এমনটাই বললেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য দেবলীনা হেমব্রম।
১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরের খাঁপুরে তেভাগার দাবিতে লড়াইয়ে শামিল হন কৃষকরা। বৃটিশ পুলিশ এবং জমিদারদের বাহিনীর আক্রমণে শহীদ হন ২২জন কৃষক। এদিন সারা ভারত কৃষকসভা’র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদানের পরে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন দেবলীনা হেমব্রম, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ বিশ্বাস সহ জেলার বামপন্থী নেতৃবৃন্দ। এদিনের কর্মসূচিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন।
এদিন দেবলীনা হেমব্রম বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে ৭৬ বছরে পা দিয়েছি আমরা। তারও আগে থেকে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে এসেছে। এখন বিভাজন সৃষ্টি করতে বিজেপি সরকার কাগজপত্র দেখতে চাইছে। সাধারণ মানুষ নিজের জমিতে কবে থেকে বাড়ি বানিয়ে থাকছে তার দলিল দেখতে চাইছে। আমরা আদিবাসী সমাজের মানুষ। আমাদের সমাজের অধিকাংশ গরীব মানুষ লেখাপড়া জানেনা। তাঁরা কাগজের মূল্য কী বোঝে? তাঁদের কাছে কাগজ কোথা থেকে আসবে? আসলে এই সব ফন্দিফিকির করে মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে।
দেবলীনা হেমব্রম এর সঙ্গে যোগ করেন, তৃণমূল এবং বিজেপি জানে, মানুষকে বিভাজিত করতে পারলে হুমকি দিতে, ধমকাতে সুবিধা হবে, লুঠ করতে সুবিধা হবে। এই কায়দাতেই তো দেশের সরকার আর রাজ্যের সরকার শোষণ করছে। এরাজ্যের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত মমতা ব্যানার্জি নষ্ট করে দিয়েছে। এর বদল ঘটাতে হলে আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে।
এদিনের কর্মসূচিতে মানবেশ দৌধুরী, অমিত সরকার, ভানুকিশোর সরকার, কৃষ্ণা সেনগুপ্ত, সকিরুদ্দিন আহমেদ, পরিমল সরকার, কুমার সরকার, সাজাহান আলি সর্দার, সুব্রত সরকার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Comments :0