লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দক্ষিণ তুরষ্ক এবং উত্তর সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। সরকারি হিসেবে সব মিলিয়ে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ৬ ফেব্রুয়ারির এই ভূমিকম্পে।
রাষ্ট্রসংঘ সহ আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের দাবি, তুরস্ক নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১,৬৪৩। উত্তর সিরিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৫৮১। যদিও এটা সরকারি সংখ্যা। বেসরকারি মতে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়ে চলেছে। এখনও বেশ কিছু মানুষ জীবীত অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে উদ্ধারকারীদের অনুমাণ। কিন্তু ধীর গতিতে উদ্ধার কাজ চলায় তাঁদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার পাওয়ার আশা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে।
দক্ষিণ তুরস্কের কাহরামানমারাস অঞ্চলকে এই ভয়াবহ কম্পনের উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তুরস্ক সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রদেশের ১০ লক্ষের বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বস্ব হারানো মানুষকে আশ্রয় দিতে ৩০ হাজার তাবু পাতা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৪৮ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। স্পোর্টস হলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা সাড়ে এগারো হাজার।
তুরস্কে ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ কিছুটা গতি পেলেও উত্তর সিরিয়ার অবস্থা ভয়াবহ। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে কার্যকরী কোনও প্রশাসন নেই। তারফলে ত্রাণের কাজ ব্যহত হচ্ছে। যদিও সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাসার আল আসাদ জানিয়েছেন, তিনি ত্রাণের কাজে রাষ্ট্রসংঘ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বিদ্রোহীদের তরফেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
Comments :0