দেশের ভবিষ্যৎ নতুন প্রজন্ম
ঋষভ কোঙার
ভারতবর্ষের মাটির ইতিহাসে দেখা যাবে, দেশের স্বাধীনতা আনার জন্য তরুণ- তরুণীদের ভূমিকা ছিল। এই নতুন প্রজন্মের তরুণরা স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী সহ
অনেকেই। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে সেই তরুণ কিংবা নতুন প্রজন্মের কবিতা, গান সহ অন্য লেখার মাধ্যমে রসদ যুগিয়েছেন। বাংলার তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন "অনুভব ১৯৪০" এর মধ্য দিয়ে
তেমনি উত্তর প্রদেশের তরুণ কবি রামপ্রসাদ বিসমিল দিয়েছেন "সরফরোশী কী তামনা" "অব হমারে দিল মে হৈং" এর মধ্য দিয়ে। তরুণ কিংবা নতুন প্রজন্মের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা এসেছে ভারতের মাটিতে। শুধু ভারতের
মাটিতে কেন? পৃথিবীর ইতিহাসের নতুন প্রজন্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এ তো হল ইতিহাসে নতূন প্রজন্মের ভূমিকা। এবার আশা যাক বর্তমানে! নতুন প্রজন্ম কি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে, আমি একজন ১৬ বছরের কিশোর। আমি অনুভব করি তরুণদের মধ্যে কিসের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে, এক প্রকার
বলতে গেলে যারা দেশের ভবিষ্যৎ তাদের মনে যে নতুন কিছু করার ইচ্ছে আছে, সেটা আমি নিজেই টের পাই। আমার মনে যে ইচ্ছে আছে সেটা এখানে ব্যাক্ত করলাম না। কারণ আগামীদিনের জন্য তরুণরা ভবিষ্যত। আমার আশা,
টমাস এডিসন কে হার মানিয়ে নতুন আলোর সৃষ্টি করবে, আইজাক নিউটন কে হারিয়ে নতুন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ধারণা আবিষ্কার বা স্টিফেন হকিং কে হারিয়ে নতুন গ্রহ আবিষ্কার, সমস্ত বিজ্ঞানী কে হারমানিয়ে পরীক্ষাগারেই তৈরী হবে
কৃত্রিম মানুষ কিম্বা এইডিসের প্রতিসেধক তৈরী করতেও যে সক্ষম হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই, এই কথাগুলো হাস্যকর মনে হলেও আগামীদিনে তা স্বার্থক রুপ পাবে। এটা বিশ্বাস। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ এইটা সত্য।
আমাদের দেশের ভবিষ্যৎও নতুন প্রজন্মের হাতে। এই নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই আগামী প্রভাতের সূর্য দেখা যাবে।
Comments :0