সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মণিপুরে নিহত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১২ সদস্য। রাজ্যের জিরিবাম জেলায় সোমবার এই সংঘর্ষ হয় বাহিনীর সঙ্গে। এই জেলাতেই শুক্রবার এক মহিলা নিহত হন। তাঁর হত্যার জন্য মেইতেই গোষ্ঠীর সশস্ত্র কোনও গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্দিষ্ট করেনি যে সোমবার সংঘর্ষে নিহতরা কোন গোষ্ঠীর। মেইতেই প্রধান ইম্ফল এবং কুকি আদিবাসী প্রধান কাঙপোকপি জেলায় গুলি চালাচালির একাধিক ঘটনা রয়েছে।
জিরিবামে মহিলার হত্যার পর থেকে উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, নিহতরা কুকি জনগোষ্ঠীর কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে থাকতে পারে। গুলি বিনিময়ে আধা সামরিক বাহিনীর একাধিক জওয়ানও আহত বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুরের জিরিবাম জেলা আসাম সীমান্তে। জানা গিয়েছে, জিরিবামের একটিট থানায় এদিন দু’দিক থেকে সশস্ত্র হামলা শুরু হয়। চলতে থাকে গুলি। থানার পাশেই রয়েছে ত্রাণ শিবির। মণিপুরে জাতিদাঙ্গায় ঘরছাড়া বহু মানুষের আশ্রয় এই শিবির। সূত্রের খবর, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল এই ত্রাণ শিবিরও।
গত কয়েকমাসে জিরিবামে বোরোবেকরা এলাকার এই থানা বাবারই আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে। এদিন থানায় হামলার পর সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা কাছেই বসতি এলাকা জাকুরাদর কারঙয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক বাড়িতে আগুনও লাগায় বলে জানা গিয়েছে। এরপরই সুরক্ষা বাহিনী এলাকায় পৌঁছায়। শুরু হয় গুলিবিনিময়।
গত শুক্রবার যে মহিলাকে হত্যা করা হয়েছিল, তাঁর স্বামীর অভিযোগ, ধর্ষণও করা হয় তাঁকে। মেইতেই জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র একদল মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই মহিলা তখন ধানখেতে কাজ করছিলেন।
মণিপুরে সরকার বিজেপি’র। দীর্ঘ সময় ধরে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। ভোটের কৌশলে সংখ্যাগুরু মেইতেইদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মণিপুর নিয়ে সারা দেশে প্রতিবাদ হলেও চুপ থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বীরেন সিং-কে সরানোর দাবিতেও সরব বিভিন্ন অংশ।
MANIPUR FIRING
মণিপুরে গুলি বিনিময়ে নিহত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১২জন
×
Comments :0