নতুন বন্ধু
স্বাধীনতা দিবস
সৌম্যদীপ জানা
আমাদের কাছে স্বাধীনতা দিবস মানেই ১৫ই আগস্ট হাতে তেরঙ্গা পতাকা নিযে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , দেশাত্মবোধক গান ও বক্তৃতা ইত্যাদি। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস কি কেন বা আমরা এটিকে পালন করব তা আমরা কোনদিন ভেবে দেখেছি কি? অনেকেই হয়তো ভাবনি! কিন্তু আমাদের জানতে হবে কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করব?
স্বাধীনতা দিবস মানে সেই দিবস যেদিন ভারত বিদেশী শাসন মুক্ত হয়েছিল যেদিন ভারত নিজেকে স্বাধীন বলে দাবি করতে পেরেছিল। যেদিন আমাদের দেশের অসহায় মানুষ বিদেশি অত্যাচারমুক্ত হয়েছিল। যেদিন থেকে ভারতবাসী দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিল। সেই দিনগুলো স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা কিন্তু সহজে আসেনি? সহিংস অহিংস নানা পন্থায় বিপ্লবীদের কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের বদলে এসেছে স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হয়েছে অসংখ্য চেনাঅচেনা। স্বাধীনতা আনার জন্য কতবার তাদের আপন সন্তানকে দেশ মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর কেটে গেছে প্রায় ৭৬ বছর কিন্তু ভারত কি এখনো স্বাধীনতার মর্ম বুঝেছে? তা বলা কঠিন একদিকে কিছু ভারতবাসী অন্যদিকে দেশকে ভালোবেসে তাদের সব কিছু দেশের প্রতি উৎসর্গ করছে। অন্যদিকে কয়েকজন নিষ্ঠুর রাষ্ট্রনেতা দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যে অগ্নিযুগে বিপ্লবীরা গাইতেন ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই’। ডাক দিতেন আত্মনির্ভরতার স্বাধীনতার এত বছর পরেও কি ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পেরেছে? স্বাধীনতার মর্মই অনেক ভারতবাসী বোঝেন না। এটা তাদের দোষ নয়। আমরা ভারতীয়রা বড় অন্যদের নকল করতে বড় ভালোবাসি। ভারতে কৃষকরা মাঠে শস্য নয় সোনা ফলান। যে ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চা ও শিক্ষার নবজাগরণকে সারা পৃথিবী সমাদর করে। আমরা তাদের সবকিছু অগ্রাহ্য করে পাশ্চাত্য আদব-কায়দা শিখতে মশগুল। যে বিপ্লবীরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য এত পরিশ্রম করেছেন, এত আত্মত্যাগ করেছেন, নিজেদের প্রাণের মায়াও করেননি সেই বিপ্লবীদের মর্যাদা কি আমরা রাখতে পেরেছি? হয়তো বা পেরেছি বা পারিনি!
সৌম্যদীপ জানা
সপ্তম শ্রেণী. কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা।
ওল্ড ক্যালকাটা রোড উত্তর পাড়া, রহড়া খড়দা, কলকাতা ৭০০ ১১৮.
৮৬৯৭১ ৬৯৪৭০
Comments :0