প্রয়াগরাজ গামী ট্রেনে ওঠাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় নয়া দিল্লি স্টেশনে। দুটি ট্রেন বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এক প্লাটফর্ম থেকে আরেক প্লাটফর্মে যাওয়ার জন্য। ১৪ এবং ১৬ নম্বর প্লাটফর্মে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। পদপিষ্ট হয়ে ৩ শিশু-সহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। ১৫ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে
লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতাল। পদপিষ্টের ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ওই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
কুম্ভে যাওয়া-আসার পথে দুর্ঘটনায় এবং বাসে আগুন লেগে যাওয়ায় শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকাল মিলিয়ে ১৫ জন দর্শনার্থীর মৃত্যু হয়েছে দুই রাজ্যে। জখম হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। এদিন রাতে তিন শিশু-সহ ১৫ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেল। আহত কমপক্ষে ১০ জন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা, শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রিতে।
কুম্ভ মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে গত এক মাসে সেখানে যাওয়া-আসার পথে পরপর দুর্ঘটনায় একাধিক দর্শনার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। দিন চারেক আগেই এক দুর্ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসের শেষে পদপিষ্ট হয়ে সরকারি হিসাবে ৬০ জনেরও বেশি দর্শনার্থীর মৃত্যু হয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। বেসরকারি মতে, সেই সংখ্যা যদিও এর কয়েকগুণ বেশি।
নয়াদিল্লি থেকে প্রয়াগরাজের যাওয়ার ২টি ট্রেন বাতিল হয়। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় প্ল্যাটফর্মে। অত্যাধিক ভিড়ের চাপে ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হয়। আহতদের উদ্ধার করে লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ৩ শিশু-সহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়। উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দাবি পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেনি। গুজব ছড়ানোর কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে
আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শোকপ্রকাশ করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Comments :0