ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পরবর্তী সুপারস্টারের খোঁজ কি তবে পেয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ? জুড বেলিংহ্যামের সাম্প্রতিক ফর্ম উষ্কে দিচ্ছে এই জল্পনা।
চলতি বছরে জার্মানির বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে সই করেছেন বেলিংহ্যাম। এবং তারপর থেকেই কার্যত স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ ফুটবলার।
সাম্প্রতিক রেকর্ড বলছে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সমস্ত টুর্নামেন্ট মিলিয়ে নিজের প্রথম ১৬ ম্যাচে বেলিংহ্যাম ১৫টি গোল করেছেন। রিয়ালের ইতিহাসে এই রেকর্ড আর অন্য কোনও ফুটবলারের নামের পাশে নেই। তাঁর ঠিক পরেই রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং অ্যালফ্রেড ডি স্টিফানো। এই দুই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তী প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৩টি করে গোল করেছিলেন।
বেলিংহ্যামের সঙ্গে খোদ জিনেদিন জিদানের তুলনা করেছেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনসেলোত্তি স্বয়ং। বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইতালির নাপোলিকে ৪-২ গোলে হারায় স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন বেলিংহ্যাম। তারপরেই নিজের তরুণ ছাত্রের প্রশংসায় ফেটে পড়েন অতীতে জুভেন্টাস, এসি মিলান, পিএসজি, চেলসির মত দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলানো আনসেলোত্তি।
সাংবাদিক সম্মেলনে আনসেলোত্তি বলেন, ‘‘দুটো আলাদা প্রজন্মের তুলনা ঠিক ওইভাবে করা সম্ভব নয়। তবে বেলিংহ্যাম যে ভাবে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়তে পারে, তা অনবদ্য। জিদান এটা পারত না। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ক্ষেত্রে বেলিংহ্যামের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে জিদান।’’
একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘আধুনিক ফুটবলে বেলিংহ্যামের মত ফুটবলারদের আরও বেশি করে প্রয়োজন। গতি এবং শারীরিক সক্ষমতার জোরে যাঁরা অনেকটা জায়গা নিয়ে খেলতে পারবেন।’’
চলতি মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ সি-তে রয়েছে রিয়াল। এখনও অবধি তাঁরা খেলেছেন ৫ ম্যাচ। পাঁচটিতেই মিলেছে জয়। আর প্রতিটি ম্যাচে গোল করেছেন বেলিংহ্যাম। এটিও আলাদা এক নজির।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেলিংহ্যামের এই ফর্মের পিছনে আনসেলোত্তির ভূমিকা যথেষ্ট। ১১.৫ কোটি ইউরোর বিনিময়ে বুরুশিয়া থেকে বেলিংহ্যামকে রিয়ালে নিয়ে আসা হয়। বুরুশিয়াতেও সাড়া জাগানো ফুটবল খেলছিলেন বেলিংহ্যাম। কিন্তু তিনি ছিলেন মূলত মাঝমাঠের খেলোয়াড়। রিয়ালের স্ট্রাইকার সমস্যা দূর করতে বেলিংহ্যামের গোল করার ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন আনসেলোত্তি।
আনসেলোত্তির সেই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছে রিয়াল। প্রশংসা কুড়োচ্ছেন বেলিংহ্যাম নিজেও। ২০২০-২৩ সাল অবধি তিনি বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ৯২ ম্যাচ খেলেছেন। গোলের সংখ্যা ১২টি। রিয়ালের হয়ে ১৫ ম্যাচেই ছাপিয়ে গিয়েছেন সেই রেকর্ড।
Comments :0