গত মাসের ১৪ জুন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দে পরিবার দীঘা বেড়াতে এসে নবম শ্রেণি কিশোরকে হারিয়েছিলেন। ঠিক পরের দিন মান্দারমনি ভ্রমণ একজনের প্রাণ হারান। ফের মঙ্গলবার মান্দারমনিতে তলিয়ে গেল তিন যুবক।
ভ্রমণ পিপাসু দুর্গাপুরের ৬ যুবক সৈকত শহর মান্দারমনিতে বেড়াতে এসে হারিয়ে ফেলল তিন বন্ধুকে। আকাশে মেঘ বর্ষা। সাধারণত বর্ষাকালে সমুদ্র উত্তাল থাকে, তারই মাঝে কাজের ফাঁকে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করার জন্য দুর্গাপুর থেকে গত রবিবার রওনা দিয়েছিল ৬ বন্ধু। মান্দারমনির একটি হোটেলে সোমবার ওঠে। এদিন সকালে সমুদ্র স্নান উপভোগ করার জন্য বেরিয়ে পড়েছিল মান্দারমনির সিবিচে। ছয় বন্ধুর দুইজন সমুদ্র পাড়ে, অপর চারজন সমুদ্র স্নানের উদ্দেশ্যে সবে নামতে শুরু করেছিল। সমুদ্রে অল্প একটু নামার পরে চোরাবালির ঘূর্ণনে ক্রমশ নিচের দিকে তলিয়ে যেতে থাকে তিন বন্ধু। অপর একজন তাদের এই চলে যাওয়া দেখে ছুটে যায় রক্ষা করতে। কিন্তু সেও ওই বিপাকের মধ্যে পড়ে যায়। কোনক্রমে রেহাই পেয়ে যায়। চিৎকার শুরু করলেও সাঁতার না জানা ওই যুবকগুলো সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যায়। ততক্ষণে নুলিয়ারা এবং মন্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিশতাদের উদ্ধারে নেমে পড়ে। সৌম্য চক্রবর্তী ও অসীম মন্ডলকে উদ্ধার করা গেলেও ঋত্বিক ঘোড়াই এখনো নিখোঁজ। উদ্ধার হওয়া সৌম্য চক্রবর্তী, অসীম মন্ডল দুজনকে বালিসাই বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ছয় যুবকের প্রত্যেকেই একাধিক বেসরকারি কোম্পানির টেকনিশিয়ান কেউ সেলসম্যানের কাজ করে। তাদের সঠিক পরিচয় এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মান্দারমনিতে পুলিশ, লুলিয়ার থাকলেও নজর দারির ক্ষেত্রে সতর্কতার অভাবে বলে স্থানীয় দোকানদার এবং মানুষদের অভিযোগ।
Mandarmani
মন্দারমণিতে মৃত্যু ২পর্যটকের, নিখোঁজ ১
×
Comments :0