পুলিশের আবেদন অগ্রাহ্য করল আদালত। সোমবার, বড়দিনে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রার্থী চারজনকেও জামিন দিয়েছে আলিপুর আদালত।
নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি। ৫০০ দিনের বেশি আন্দোলনেই রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২২ ডিসেম্বর, শুক্রবার, হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভ পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। মোট ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হেপাজাতে রাখা হয় তাঁদের।
ধৃতদের মধ্যে ৫৫ জনই মহিলা প্রার্থী। তাঁদেরও রাখা হয় হেপাজতে। দু’দিন আগে জামিন পেয়েছিলেন মহিলা আন্দোলনকারীরা। এদিন বাকি চার পুরুষ আন্দোলনকারীকে জামিন দিলো আদালত।
জামিন পেয়েও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভের জন্য হাজতে রাত কাটাতে হবে, ভাবতে পারেননি। সোমবারও পুলিশ আদালতে এই ৪ চাকরিপ্রার্থীর আরও ১৪ দিন হেপাজত চায়। আদালত সেই আবেদন অগ্রাহ্য করেছে।
শুক্রবার কালীঘাট থানা ও মন্দিরের কাছে থেকে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তাঁদের। এর আগেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এমনই ব্যবহার করেছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। আন্দোলন, বিক্ষোভ করলেই এমন কড়া ব্যবস্থা কেন, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন অংশ সেই প্রশ্নে সরব। শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কেন থাকতে হবে হাজতে, রয়েছে সেই প্রশ্নও।
PROTESTERS BAIL CM
বিক্ষোভে দেখালেই হাজতবাস! জামিনের পরও উঠছে প্রশ্ন
×
Comments :0